আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি দু'বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য সাজা প্রাপ্ত হলে ওই ব্যক্তির সাংসদ অথবা বিধায়ক পদ তৎক্ষণাৎ খারিজ হয়ে যায়। এমনকি, তেমনটা হলে আগামী ছ'বছর নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না রাহুল গান্ধি। তাই সবকিছু দেখেশুনেই এবার এগোচ্ছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: EVM নিয়ে বিরোধীদের বৈঠক, অথচ সেখানে গেল না TMC, কেন? তুঙ্গে জল্পনা
advertisement
আপাতত, সুরাত জেলা আদালত তাঁকে দু বছরের সাজা ঘোষণা করলেও উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য ৩০ দিন সময় দিয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত এ বিষয়ে জামিনও দিয়েছে তাঁকে। রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, "আগে বিশেষজ্ঞরা আইনি বিষয়টি বিচার বিবেচনা করুন। তারপরে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব হবে।"
রাহুল গান্ধি ইস্যুতে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদই বৈঠকে বসেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সেখানে গুজরাতের আদালতের রায়ের কপি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ যদিও রায়টি গুজরাতি ভাষায় লেখা ছিল। পরে সেই কপি অনুবাদ করা হয় দলের সদর দফতরে।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে উড়তে উড়তে হঠাৎই বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ল বিমান! ধানবাদে ভয়ঙ্কর ঘটনা
সেই ২০১৯ সালের কথা। সেই সময় লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের কোলারে একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি ধরে একটি মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাঁর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে একটি মামলা দায়ের করেন গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপি নেতা পুর্ণেশ মোদি। অভিযোগকারীর দাবি, এই মন্তব্যে রাহুল পুরো মোদি সম্প্রদায়কে অপমানিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে আগে থেকেই পাল্টা নিশানা করেছে কংগ্রেস। গুজরাতে প্রদেশ কংগ্রেসের ট্যুইটার থেকে বলা হয়েছে, "বিজেপির একনায়কতন্ত্রের সামনে মাথা নত আমরা করব না।" আদালতে মামলা ওঠার পরে ২০২১ সালে অক্টোবরে রাহুল গান্ধি নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধারা ৪৯৯ এবং ধারা ৫০০ (মানহানি) মামলা আনা হয়েছিল।
RAJIB CHAKRABORTY