এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের নওগাঁওতে৷ মণিপুর, নাগাল্যান্ড পেরিয়ে বর্তমানে অসমে পৌঁছেছে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা৷ এই ঘটনার কথা পরে অসমের একটি জনসভাতেও উল্লেখ করেন রাহুল৷ সেখানে তিনি বলেন, কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদি অথবা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কাউকেই ভয় পায় না৷ কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ করেছে, রাহুল গান্ধি, জয়রাম রমেশ সহ তাদের নেতাদের বিরক্ত করতেই এই কাজ করেছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: এআই নির্ভর ড্রোন, দশ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা! বেনজির নিরাপত্তার চাদরে অযোধ্যা
রাহুলের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ বাসের জানলার ধারে বসে রয়েছেন৷ সেই সময় তাঁকে দেখতে পেয়েই রাস্তার পাশেই এক জায়গায় জড়ো হওয়া কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে জয়ধ্বনি দিতে শুরু করেন৷ ‘জয় শ্রীরাম’ বলেও চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা৷ স্বভাবতই ভিড় সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন নিরাপত্তাকর্মীরা৷ কোনও অনভিপ্রেত ঘটনার আশঙ্কায় বাসের ভিতরে রাহুল গান্ধির নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করেন৷
প্রথমে ওই ভিড়ের দিকে হাসি মুখে হাত নেড়ে, চুম ছুড়ে দেন রাহুল৷ তাতে যেন আরও উৎসাহিত হয়ে ‘মোদি’, ‘মোদি’ চিৎকার করতে থাকেন বিজেপি, সমর্থকরা৷ এর পরেই চালককে বাস থামানোর নির্দেশ দেন রাহুল৷ বাস থেকে নেমে ওই বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ভিড়েই মিশে যান তিনি৷
বিজেপি অবশ্য পাল্টা দাবি করেছে, মোদির নামে জয়ধ্বনি এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়েই রাহুল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান৷ বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা ওনাকে আটকেছেন৷ ভালবাসার দোকান নয়, এটা আসলে অহঙ্কারের দোকানের উদাহরণ৷ জয় শ্রীরাম এবং মোদি, মোদি ধ্বনি শুনে রাহুল গান্ধি জনতার দিকে রেগে গিয়ে তেড়ে গেলেন৷ উত্তরাধিকারের জোরে ক্ষমতাবান একজন মানুষের উদ্ধত এবং লজ্জাজনক আচরণ৷’
যদিও রাহুল গান্ধি অবশ্য অসমের জনসভায় দাবি করেন, ‘এই জায়গায় পৌঁছনোর ২-৩ কিলোমিটার আগে ২০-২৫ জন বিজেপি কর্মী হাতে লাঠি নিয়ে আমাদের বাসের সামনে চলে আসেন৷ যখন আমি বাস থেকে নেমে এলাম, তখন ওঁরা পালিয়ে গেলেন৷ ওরা ভাবছে কংগ্রেস হয়তো বিজেপি এবং আরএসএস কর্মীদের ভয় পায়৷ ওরা কী স্বপ্ন দেখছে জানি না৷ আমাদের যত খুশি পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ওরা ছিঁড়তে পারে, আমাদের কিছু যায় আসে না৷ নরেন্দ্র মোদি অথবা এখানকার মুখ্যমন্ত্রী, আমরা কাউকেই ভয় পাই না৷’