কয়েক মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছেন রাহুল গান্ধি৷ কর্ণাটকে কংগ্রেসের বড় জয়, ইন্ডিয়া জোটের নামে বিরোধী দলগুলি একজোট হওয়ার পর সাংসদ পদ ফিরে পেয়ে কংগ্রেস নেতা এখন আরও আত্মবিশ্বাসী৷ এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুলের দ্বিতীয় দফার ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসের পালে আরও হাওয়া টানতে পারে কি না, তাও দেখার৷
advertisement
শুধু লোকসভা নির্বাচন নয়, তার আগে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো দুই রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে৷ এর মধ্যে রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই কংগ্রেসের, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে রাহুল গান্ধির সামনে৷
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গুজরাতে গত বিধানসভা নির্বাচনে সেভাবে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি রাহুল গান্ধিকে৷ কিন্তু এবারে লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সেই গুজরাতকেই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি৷ তার উপর, মোদি পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে এই গুজরাতের আদালতের নির্দেশের জেরেই সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে৷
আরও পড়ুন: আগামিকালই ছুটি, বাড়ি ফেরার খবর পেয়েই হাসপাতালে খোশমেজাজে বুদ্ধদেব
আবার এই দফার ভারত জোড়ো যাত্রায় উত্তর পূর্ব ভারতকেও রেখেছেন রাহুল গান্ধি৷ উত্তর পূর্ব ভারতকে অনেকদিন ধরেই পাখির চোখ করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু সাম্প্রতিক মণিপুরের অশান্তির ঘটনায় উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে যথেষ্টই চাপে গেরুয়া শিবির৷ তার উপর উত্তর পূর্বের আর এক রাজ্য মিজোরামেও এ বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা৷ সবমিলিয়ে রাহুলের দ্বিতীয় দফার ভারত জোড়ো যাত্রার যাত্রাপথ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চর্চার জন্য যথেষ্টই রসদ জোগাবে৷
প্রথম দফার ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন কংগ্রেস নেতা৷ কণ্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন তিনি৷ কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে তার সুফলও পেয়েছিল কংগ্রেস৷ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এ বছরের ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হয়েছিল রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা৷ ১৩০ দিনের এই দীর্ঘ যাত্রায় ১২টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩৯৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন তিনি৷