আজই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামিকাল থেকে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত আলোচনার সময়ও সংসদে উপস্থিত থাকতে পারবেন রাহুল৷ সূত্রের খবর, রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া অযথা দেরি হলে কংগ্রেস নেতৃত্ব ফের আদালতের দ্বারস্থও হতে পারে৷ বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হতে পারে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলিও৷
advertisement
সাম্প্রতিক কালে অবশ্য এনসিপি-র লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ পিপি মহম্মদ ফয়জলের সাংসদ ফিরে পেতে একমাসের উপরে সময় লেগেছিল৷ যা উদ্বেগে রেখেছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে৷ গত জানুয়ারি মাসে লাক্ষাদ্বীপের সাংসদকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কেরলের একটি নিম্ন আদালত৷ যদিও সেই নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে কেরল হাইকোর্ট৷ তার পরেও সাংসদ পদ ফিরে না পাওয়ায় সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই এনসিপি সাংসদ৷ এর পরেই মার্চ মাসে শীর্ষ আদালতে শুনানির ঠিক আগে সাংসদ পদ ফিরে পান তিনি৷
মোদি পদবী নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধিকে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুরাতের একটি আদালত৷ এর পরেই গত মে মাসে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করেন লোকসভার অধ্যক্ষ৷ এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই প্রথমে গুজরাত হাইকোর্ট এবং তার পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন রাহুল৷
মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা জানান, কেন রাহুল গান্ধিকে নিম্ন আদালত সর্বোচ্চ শাস্তিই দিল, তার যথাযথ কোনও ব্যাখ্যা আদালতের নির্দেশে পাওয়া যায়নি৷ ফলে এই শাস্তি বজায় রাখার আগে তা পুনরায় খতিয়ে দেখা প্রয়োজন৷ এই যুক্তি দেখিয়েই নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট৷