গতকালই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বোর্ড ৷ দশম শ্রেণির অঙ্ক এবং দ্বাদশ শ্রেণির ইকনমিক্স পরীক্ষা ফের নেওয়ার কথা জানানো হয় ৷ পশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সিবিএসই ৷ এরপর থেকেই বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় বিভিন্ন মহল ৷ প্রশ্নফাঁসের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন শহর থেকে অনলাইন পিটিশন জমা পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াও শুরু হয়েছে প্রচার। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছেন শিক্ষকরাও।
advertisement
আরও পড়ুন: পরীক্ষা নেওয়া হোক সব বিষয়ে, যন্তর মন্তরে বিক্ষোভে সিবিএসই পড়ুয়ারা
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লির যন্তর মন্তরে শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ ৷ শুধুমাত্র অঙ্ক বা ইকনমিক্স নয়, পরীক্ষা নেওয়া হোক সব বিষয়ে, এমনই দাবি নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে পড়ুয়ারা ৷ প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরও ৷ আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের উদ্বেগ হওয়া স্বাভাবিক। আমিও একজন পিতা। বুঝতে পারি কী অবস্থা হয়। দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে ৷’’
আরও পড়ুন: কেরালায় স্কুলের ফর্মে ‘রিলিজিয়ন’ এবং ‘কাস্ট’ অপশনে কিছু লিখল না দেড় লক্ষ পড়ু য়া
গত লোকসভা ভোটের আগে নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ বলে প্রচার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ৷ পরে বিরোধীরা বিভিন্ন ইস্যুতে ‘চৌকিদারী’ কাঁটায় বিঁধেছেন মোদীকে ৷ কর্ণাটকের এক সভাতেও দেশের ‘চৌকিদার’কে কটাক্ষ করে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ তিন মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ কোটিতে পৌঁছেছেন! চৌকিদার খোঁজ নেননি, কথাও বলেননি! নীরব মোদী ২২ হাজার কোটি টাকা চুরির পান্ডা। তিনি দেশও ছেড়েছেন। কিন্তু দেশের চৌকিদার একটি শব্দও খরচ করেননি!’’
এ বারও ব্যতিক্রম হল না ৷ টুইটে কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, ‘কত রকম ফাঁস ৷ তথ্য ফাঁস ! আধার ফাঁস ! এসএসসি ফাঁস ! ভোটের তথ্য ফাঁস ! পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস !’
এমনকী টুইটে #BasEkAurSaal ব্যবহার করেছেন রাহুল ৷ যার অর্থাৎ ‘আর মাত্র একটা বছর ৷’
আরও পড়ুন: মহাবীর জয়ন্তীর শুভেচ্ছাবার্তায় গৌতম বুদ্ধের ছবি ! ট্রোলড শশী থারুর