পালটা পটনা হাই কোর্ট আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস নেতার আইনজবীবী। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবার স্থগিতাদেশ জারি করল পটনা হাই কোর্ট। ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। গত ২৩ মার্চ সুরাতের আদালত 'মোদি' পদবি নিয়ে অনৈতিক বক্তব্যের জন্য দু’বছরের জেলের শাস্তি দিয়েছিল৷ সেই নিয়ে তোলপাড় হয় দেশজুড়ে৷ রাজনৈতিক উত্তেজনাও তৈরি হয়৷ ২০১৯ সালের একটি রাজনৈতিক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেছিলেন।
advertisement
এর পরে সংসদের সদস্যপদ বাদ যায় রাহুলের৷ সাজা ঘোষণার পর রাহুলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়৷ তার পর সেশন কোর্টে এই সাজা ঘোষণার পর ফের আবেদন করেন রাহুল গান্ধি৷ তিনি এই সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু সুরাতের আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: হাতে দেখিয়ে বললেন, 'খুলে ফেলেছি', অভিষেককে নিয়ে বিরাট মন্তব্য পার্থর! তুমুল শোরগোল
অভিযোগ, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাডে ভোট প্রচারে গিয়ে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাতের এক নেতা৷ গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সেই মামলায় রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দেয়। তার পরেই গত ২৪ মার্চ ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদের নিয়ম মেনে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি দু'বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ওই ব্যক্তির সাংসদ অথবা বিধায়ক পদ তৎক্ষণাৎ খারিজ হয়ে যায়। এমনকি, তেমনটা হলে আগামী ছ'বছর নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট খবর, এবার আরও বেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা!
পটনা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের পর এ বিষয়ে রাহুল গান্ধির আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠোর বলেন, ''যখন একই বিষয়ে সুরাটের আদালতে মামলা চলছেই, তখন অন্য একটি আদালতে একই বিষয়ে মামলা করা বেআইনি। আগামী ১৫ মে অবধি নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে পটনা হাই কোর্ট।''