আপ, তৃণমূলের মতো দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের মতপার্থক্যই বিরোধী জোটের পথে অন্যতম কাঁটা ছিল৷ শুধু রাহুলের পাশে দাঁড়ানো নয়, রাহুল গান্ধির শাস্তির পর সাজাপ্রাপ্ত সাংসদদের সদস্যপদ বাতিল নিয়ে নিজের আগের অবস্থানও বদলে ফেলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল৷
আরও পড়ুন: বাড়বে বিপত্তি! সাজা বহাল থাকলে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের বয়স হবে ৬৩
advertisement
কিন্তু রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের পরেই ছবিটা যেন বদলে গেল। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর পরই ট্যুইট করে কংগ্রেস নেতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মমচা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই পথে হাঁটলেন আপ প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালও৷ শুক্রবার রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ গতকালই সুরাত আদালত ২০১৯ সালের এর একটি মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাতের আদালত ৷ তারই জেরে শুক্রবার রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ বাতিলের নির্দেশ দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷
২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে লিলি থমাস বনাম ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জনপ্রতিনিধি আইনের একটি অনুচ্ছেদকে বাতিল করে দেয়৷ ওই আইন বলে, সাজাপ্রাপ্ত হলেও নব্বই দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করলে জনপ্রতিনিধি থাকা যেত৷ সেই ক্ষমতাই প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্ট৷
ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশ পাস করে মনমোহন সিং সরকার৷ যদিও একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই অধ্যাদেশকেই ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি৷ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের জারি করা অধ্যাদেশকেই নাকচ করেছিলেন তিনি৷ আর এখন সেই আইনের প্যাঁচে পড়েই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস৷ ২০১৩ সালে সেই সময় রাহুলের সুরে সুর মিলিয়ে কেজরীওয়ালও দাবি করেছিলেন, সাজাপ্রাপ্ত সাংসদদের অবিলম্বে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়া উচিত৷ এখন অবশ্য তিনি বলছেন, মোদি সরকার ভয় পেয়ে গিয়েই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করল৷ ফলে রাহুলের শাস্তিতে কংগ্রেস তো বটেই, নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলল আম আদমি পার্টিও৷