advertisement
কর্ণাটকে একটি সভায় বক্তব্য দেওয়ার রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, 'কেন সব চোরের পদবি মোদি হয়?' রাহুল সেই সময় ললিত মোদি, নীরব মোদির নাম নিয়েছিলেন। এরপরই পূর্ণেশ মোদি নামে এক বিজেপি নেতা রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মোদি সমাজ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখার জন্য রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল সুরাতের আদালত৷ সেই নির্দেশ মেনে আগে রাহুল গান্ধির সদস্যপদ বাতিল করা হয় সংসদ থেকে৷ তিনি জামিন পেলেও জনপ্রতিনিধি আইন অনুসারে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে আইনসভা৷ তা নিয়ে উত্তাল হয় দেশের রাজনীতি৷ রাহুল গান্ধি নিজেও বলেন, তিনি এর পরেও সমালোচনা করা ছাড়বেন না৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি সরকারের সমালোচনা সমান তালেই চালিয়ে যাবেন৷
আরও পড়ুন: রাজীব কাণ্ড থেকে শিক্ষা? মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় তৃণমূলনেত্রী মমতা
পীযূষ গোয়েল আরও বলেন, 'সরকারি বাংলো খালি করার জন্য রাহুলকে পাঠানো নোটিশটি আইন অনুসারে ছিল। এটিই নিয়ম যে, যদি সাংসদ না থাকেন তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলো খালি করতে হবে৷ যদি মেয়াদ বাড়াতে চান, তাহলে তিনি হাউজিং কমিটির কাছে অনুরোধ করতে পারেন৷ দিল্লিতে তাঁর তিনটি বাড়ি রয়েছে। মল্লিকার্জুন খাড়গেও তাঁর বাড়ির প্রস্তাব দিয়েছেন৷' লোকসভার সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট বাংলো ছাড়ার চিঠি গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির কাছে৷ ২৭ মার্চ তারিখে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো রাহুলকে ছাড়তে হবে৷ এর জন্য আগামী মাসের অর্থাৎ এপ্রিলের ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় পাবেন তিনি৷ ২৩ তারিখ থেকে তাঁর জন্য নির্ধারিত বাসস্থান আর তাঁর জন্য থাকবে না৷
পীযূষ গোয়েলকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর নায়ক কে? তাঁর উত্তরে গয়াল বলেন, “প্রত্যেকের জীবনেই বেশ কিছু নায়ক থাকেন। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির আদর্শ অনুসরণ করা ভাল নয়। আজ আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে কাজ করছি। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। প্রধানমন্ত্রী আমার অনুপ্রেরণা। যদি আমাকে এক জন নায়কের কথা বলা হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার কাছে হিরো নং ১।”