এদিকে পরিষদীয় বৈঠকে যোগ দিতে চণ্ডীগড়ে পৌঁছে গিয়েছেন অজয় মাকেন। কেউ বলছেন বৈঠক শুরুর আগেই ইস্তফা দেবেন ক্যাপ্টেন। সেক্ষেত্রে দেখার কংগ্রেসের বিকল্প বাছাই কে। অন্য দিকে ক্যাপ্টেন যদি পদ ছাড়তে রাজি না হন, তাহলে কী অপেক্ষা করছে সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন : পাঞ্জাবে বড় অঘটন! ইস্তফা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং?
advertisement
এক কথায় বললে, পাঞ্জাবে রাজনৈতিক সংকট চরমে উঠেছে। ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে অমরিন্দর সিং পদত্যাগের কথা শুনিয়েছেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর জন্য দলের অন্দরেই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন বিধায়করা। সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর থেকেই অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর জন্য হাইকমান্ডের কাছে তদ্বির শুরু করেছিলেন বিধায়কদর একাংশ। যদিও সেসময় হরিশ রাওয়াত তাঁদের সাফ জানিয়ে দেন পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হবে অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বেই।
গতকাল রাত থেকেই ফের মাথাচারা দিতে শুরু করেছিল অশান্তি। ঘনিষ্ঠ মহলে অমরিন্দর সিং (Punjab Crisis | Amarinder Singh) নাকি জানিয়েছিলেন তাঁকে যদি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তিনি পার্টি ছেড়ে দেবেন।
অমরিন্দর সিং সরলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করেছে কংগ্রেসের ভেতরে ও বাইরে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই উচ্চ পদস্থ কংগ্রেস নেতা নেটওয়ার্ক ১৮ কে জানিয়েছেন এই বিষয়ে বেশ কিছু নাম হাওয়ায় ঘুরলেও ক্যাপ্টেনের ইস্তফা (Punjab Crisis | Amarinder Singh ) এবং বিকল্প মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে সবটাই জানেন 'গান্ধিরা'।
পাঞ্জাবের দুই সিনিয়র কংগ্রেস নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজ 18 কে বলেন, পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আরও কয়েকজনের মধ্যে তাদের নামও অনুমান করা হচ্ছে।এঁদের মধ্যে একজন বলেন, "শুধু একটা জিনিস স্পষ্ট তা হল ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জন্য এটি এখন পর্দা।" দ্বিতীয় নেতাও একই কথা বলেন। সেইসঙ্গে যোগ করেন, এই একটি কারণেই আজ কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সভা ডাকা হয়েছিল এবং দিল্লি থেকে দলীয় হাইকমান্ড দুজন পর্যবেক্ষকও পাঠিয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে।"
যদিও দুই অমরিন্দর সিং-এর বিকল্প হিসাবে যে নামগুলি জল্পনায় উঠে আসছে সেগুলিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁদের কথায়, ক্যাপ্টেনকে পদত্যাগ করানোই দলের জন্য প্রথম বড় কাজ। লড়াই ছাড়া তিনি সরবেন বলে আশা করা যায় না। তবে পরবর্তী বিকল্প নামটি কেবল গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য ব্যতীত অন্য কেউ জানেন না বলেই জানান এই নেতারা।