বাঙালি অভিযাত্রী সত্যরূপের অভিযোগ ছিল, তাঁর এভারেষ্ট জয়ের ছবিকে ফটোশপের কারিগরীতে নিজেদের ছবি হিসেবে দেখাচ্ছেন পুণের বাসিন্দা দীনেশ ও তারকেশ্বরী রাঠৌর ৷ পরে নেপাল সরকারের পর্যটন বিভাগের তদন্তে এই সত্যই বাইরে আসে এবং পবর্তারোহণের ভুয়ো ছবি দাখিল করার অভিযোগে বাতিল হতে চলেছে ওই দম্পতির সামিট শংসাপত্র।
তদন্ত চলাকালীন পুনে পুলিশে কর্মরত ওই দম্পতিকে সাসপেন্ড করেছিল প্রশাসন ৷ দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর সোমবার কনস্টেবল দীনেশ ও তারকেশ্বরী রাঠৌরকে বরখাস্ত করল পুনে পুলিশ ৷
advertisement
২০১৬ সালের জুন মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনের ওই দম্পতি দাবি করেন, তারাই প্রথম এভারেস্ট জয়ী দম্পতি যারা একসঙ্গে সামিট সম্পূর্ণ করেছেন ৷ দীনেশ ও তারকেশ্বরী রাঠৌরের দাবি করেন, ২০১৬ সালের ২৩ মে তাঁরা মাকালু অ্যাডভেঞ্চার এজেন্সির মাধ্যমে সামিট শেষ করেন। তার ভিত্তিতে নেপাল সরকার তাঁদের সার্টিফিকেট দেয় বলেও জানান তাঁরা। সেই পোস্টে এভারেস্ট জয়ের ছবি হিসেবে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয় তাই দেখেই সন্দেহ জাগে ৷ ছবিটি ছিল বাঙালি পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্তের এভারেস্ট জয়ের ছবি ৷ তিনি ২০১৬ সালের ২১ মে এভারেস্ট সামিট সম্পূর্ণ করেন ৷
এই ঘটনায় দীনেশ ও তারকেশ্বরী রাঠৌর দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রবল ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্র পুলিশ ৷ মহারাষ্ট্র পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সাহেবরাও পাতিল জানিয়েছেন, ‘ওই দম্পতি এভাবে শৃঙ্গ জয়ের মিথ্যে দাবি করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সম্মানহানি করেছে ৷ তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় রাঠৌর দম্পতিকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷’
একইসঙ্গে ২০১৬ সালের অগাস্ট মাস থেকে আগামী দশ বছরের জন্য ওই দম্পতির নেপাল দিয়ে পর্বতারোহণের অনুমতিও বাতিল করে দিয়েছে নেপাল সরকার ৷
‘ফেল টাকা, চড়ো এভারেস্ট’ ৷ এভারেস্ট অভিযানের বাড়বাড়ন্ত দেখে অভিমানী পর্বতারোহী বিশেষজ্ঞরা এরকমই মত প্রকাশ করেছিলেন ৷ কারণ মাত্র আট লক্ষ টাকা খরচ করলেই মিলছিল এভারেস্ট অভিযানের ছাড়পত্র ৷ কিন্তু পুণের এক দম্পতি শৃঙ্গজয়ের নতুন রাস্তা দেখালেন ৷ যা রীতিমতো ‘সস্তায় পুষ্টিকর ৷’ কোনও শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম ছাড়াই ফটোশপের কারিকুরিতে তৈরি এভারেস্ট জয়ের রুটম্যাপ ৷