শরদ পাওয়ারের ভাগ্নে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি মহারাষ্ট্রের নেতাদের 'টার্গেট' করছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে কি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে? অজিত অবশ্য জানান, এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অজিত পাওয়ার বলেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং একটি দলের জাতীয় সভাপতি উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে দেখা করতেই পারেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা দরকার। এছাড়াও নানা বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে।''
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুল ফি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের, অভিভাবক ও স্কুলের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা
প্রসঙ্গত, শিবসেনা এবং এনসিপি একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনীতিকদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে। বুধবার সকালে, সিবিআই শরদ পাওয়ারের দলের বর্ষীয়াণ নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে হেফাজতে নিয়েছে। মঙ্গলবার, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী এবং তার দুই সহযোগীর ১১.১৫ কোটির টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, সেই বিষয়ে মোদির সঙ্গে শরদ পাওয়ারের কোন আলোচনা হয়েছে বলে এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মহিলার লিভারে এ কী জিনিস! প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন বীরভূমের চিকিৎসক
প্রসঙ্গত, গত বছরও সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার৷ সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য শরদ পাওয়ারই সময় চেয়েছিলেন৷ সেই বৈঠকে নবগঠিত কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রক নিয়ে তাঁর কিছু আপত্তির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। চিঠিতে এনসিপি প্রধান লিখেছিলেন, সমবায় ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রটি রাজ্যের তালিকাভুক্ত বিষয়৷ এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও রয়েছে৷ ফলে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যদি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে তাহলে তা সংবিধানের পরিপন্থী হবে বলে দাবি করেছিলেন পাওয়ার৷ যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শরদ পাওয়ারের নাম যেভাবে ভেসে উঠেছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনা হলেও তা আশ্চর্যের নয়।