পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, ‘‘না, আমি ভোটে লড়ব না৷ দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে…আমি দলের হয়ে এখন যে কাজ করছি, তাই করব৷ দলের বৃহত্তর স্বার্থে সংগঠনের কাজই দেখব আমি৷’’ পিকে-র দাবি, জন সুরজ পার্টি যদি ১৫০টার কম আসন পায়, সেটাকেই আমরা হার বলে মনে করব৷
advertisement
অথচ, এর আগে প্রশান্ত কিশোর নিজেই ভোটের বিহারে জল্পনা ভাসিয়ে বলেছিলেন, তিনি যদি ভোট লড়েন, তাহলে তাঁর জন্মস্থান কারগহার থেকে লড়বেন তিনি৷ এছাড়া, রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র যা যাদব পরিবারের স্ট্রংহোল্ড হিসাবে পরিচিত, সেখান থেকে পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল৷
কিন্তু, মঙ্গলবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে চঞ্চল সিং-কে প্রার্থী করেছে পিকে-র দল৷ পিকে-র জন্মস্থান কারগাহার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভোজপুরি গায়ক রীতেশ পাণ্ডে৷
আরও পড়ুন: চিনের চর…২০ বছর ধরে বসেছিল আমেরিকায়! ভারতীয় স্কলারকে এবার গ্রেফতার করল ট্রাম্প সরকার
২০২৫ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ পার্টি৷ ২৪৩ বিধানসভা আসনের বিহারে এখনও পর্যন্ত ১১৬টি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তিনি৷ প্রার্থী তালিকায় চিকিৎসক, গণিতবিদ, গায়ক, সমাজবিদ সহ বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম রয়েছে৷ প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ‘‘এখন যদি এই মানুষগুলোকে মানুষ ভোট না দেন, তাহলে তার দায় প্রশান্ত কিশোরের নয়৷ এর দায় বিহারের মানুষের হবে৷’’
এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রশান্ত কিশোরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে যে, উনি ভোটে লড়তে চাইছেন না কারণ, উনি জানেন যে ভোটে দাঁড়ালে ওঁর জমানত বাজেয়াপ্ত হবে৷
“প্রশান্ত কিশোর জানেন যে বিহারে তার দলের নির্বাচনী প্রভাব খুবই নগণ্য! প্রশান্ত কিশোর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন না, কারণ তিনি জানেন যে তিনি যদি তা করেন তবে তিনি জমানত হারাতে পারবেন! জন সুরাজ, আরজেডি, কংগ্রেস সকলেই বিহারের পরিস্থিতি জানেন: বিহারের মানুষ এনডিএ-র সাথে আছেন,” বিজেপি নেতা প্রদীপ ভান্ডারি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন।
আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন৷ ১৪ নভেম্বর ফল ঘোষণা৷