TRENDING:

Pranab Mukherjee: কে গেঁথেছিল ‘কংগ্রেসের কফিনে শেষ পেরেক?’, প্রণবের ডায়েরিতে বিস্ফোরক তথ্য, জানা গেল এবার

Last Updated:

এদিকে, সকালে নিজের প্রাতঃভ্রমণ এবং পুজোপাঠে বাধা পড়া পছন্দ ছিল না প্রণবের৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি সেবার রাহুলের সঙ্গে সকাল বেলাতেই সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ পরে কন্যা শর্মিষ্ঠাকে নাকি তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাহুলের দফতর তো AM, PM-ই বোঝে না, প্রধানমন্ত্রীর দফতর চালানোর স্বপ্ন দেখে কী করে?’’

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রে তখন দায়িত্বে কংগ্রেসের ইউপিএ জোট সরকার৷ সাংবাদিক সম্মেলন করছেন অজয় মাকেন৷ বিদেশ সফরে রয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ এমন সময় হঠাৎই ঝড়ের গতিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ঢুকে পড়লেন রাহুল গান্ধি৷ তারপরে অভিযুক্ত নেতা সম্পর্কে কেন্দ্রের আনা কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের কপি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দিলেন৷ সে-ই ঘটনা, যা কংগ্রেসের অন্দরে তো বটেই, দেশজুড়েও বিতর্কের ঝড় তুলেছিল সেই সময়৷ এই ঘটনার কথা যখন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কানে গিয়েছিল, জানেন কী ছিল তাঁর প্রতিক্রিয়া?
advertisement

সম্প্রতি, নিজস্ব গবেষণা, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ডায়েরি এবং অন্যান্য নথিপত্র ঘেঁটে এবং তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবার ব্যক্তিগত কথার স্মৃতিচারণা অবলম্বন করে একটি বই লিখেছেন প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়৷ নাম ‘Pranab, My Father: A Daughter Remembers’৷ প্রণবের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনার উল্লেখ রয়েছে সেই বইয়ে৷

আরও পড়ুন:‘প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, কিন্তু…’ অবশেষে বড় কথা ‘ফাঁস’ কন্যা শর্মিষ্ঠার

advertisement

ইন্দিরা গান্ধির ঘনিষ্ঠ, পরে রাজীব, সনিয়া থেকে রাহুল৷ গান্ধি পরিবারের একাধিক প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ তার পরেও অবশ্য, রাহুল গান্ধির সম্পর্কে তাঁর মতামত খুব এক সন্তোষজনক ছিল না৷ অন্তত রাজনীতির কারবারিরা তেমনটাই বলে থাকেন৷ শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের বইয়ে রাহুল গান্ধি সম্পর্কে প্রণবের একাধিক মন্তব্যেও উঠে এসেছে খানিক তেমনই অভিব্যক্তি৷

advertisement

শর্মিষ্ঠার বই অনুযায়ী, রাহুল গান্ধি সম্পর্কে প্রণব বলেছিলেন, ‘‘ওঁর মধ্যে গান্ধি-নেহরুর মতো অহংকার রয়েছে, কিন্তু, ওঁদের মতো রাজনৈতিক মেধা নেই৷’’ রাহুলকে বরাবরই অপরিণত রাজনীতিক মনে করতেন প্রণব৷

২০১৩ সালে প্রকাশ্যে ওই ভাবে নিজেরই সরকারের অর্ডিন্যান্স ছেঁড়ার বিষয়টি একেবারেই অপরিণত রাজনীতিকের কাজ বলে মনে করেছিলেন প্রণব৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘ও নিজেকে কী ভাবে? মন্ত্রিসভার সদস্যও ও নয়৷ মন্ত্রিসভার একটা সিদ্ধান্তকে এভাবে জনসমক্ষে ছিঁড়ে ফেলার ক্ষমতা কে দিয়েছে ওঁকে? ওঁ জানে না এর ফল কী হতে চলেছে৷ সকলের সামনে নিজেরই প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অধিকার ওঁকে কে দিয়েছিল?’’

advertisement

শর্মিষ্ঠার কথায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় মনে করতেন, ২০১৪ সালে কংগ্রেসর ইউপিএ সরকারের ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল রাহুল গান্ধির ওই দিনের আচরণ৷ তাঁর মতে, মানুষ কী ভাবে এমন সরকারকে ভোট দিত, যে সরকারে প্রধানমন্ত্রীরই কোনও সম্মান নেই!

আরও পড়ুন:‘ইন্দিরা গান্ধির পরে..,’ মোদিকে নিয়ে প্রণব যা লিখে গিয়েছেন ডায়েরিতে, এতদিন পরে এল প্রকাশ্যে

advertisement

এছাড়া, রাহুল সংক্রান্ত আরেকটি ঘটনার কথাও বইতে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানেও কংগ্রেস সাংসদের প্রতি ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রণবকে৷

সে সময় প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি৷ রাহুল গান্ধির দফতর থেকে তাঁর কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে সন্ধ্যার সময় উল্লেখ করে সেই আবেদনের উত্তর দেওয়া হয়৷ কিন্তু, কাজে দেখা যায়, সন্ধেবেলা আসার বদলে সকাল সকাল রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হয়েছেন রাহুল৷

এদিকে, সকালে নিজের প্রাতঃভ্রমণ এবং পুজোপাঠে বাধা পড়া পছন্দ ছিল না প্রণবের৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি সেবার রাহুলের সঙ্গে সকাল বেলাতেই সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ পরে কন্যা শর্মিষ্ঠাকে নাকি তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাহুলের দফতর তো AM, PM-ই বোঝে না, প্রধানমন্ত্রীর দফতর চালানোর স্বপ্ন দেখে কী করে?’’

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কেন্দ্রীয় অর্থ, বিদেশ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন বিভিন্ন সময়ে৷ ২০১২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির হিসাবে মনোনীত হন। ২০১২ থেকে ১৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি৷ ২০২০ সালের ৩১ অগাস্ট, ৮৪ বছর বয়সে মারা যান প্রণব মুখোপাধ্যায়।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Pranab Mukherjee: কে গেঁথেছিল ‘কংগ্রেসের কফিনে শেষ পেরেক?’, প্রণবের ডায়েরিতে বিস্ফোরক তথ্য, জানা গেল এবার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল