শুক্রবার নেহেরু সেন্টারে তিনদলের বৈঠক। উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত। তিনদলের সরকার গঠনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যায়। তারই ফাঁকে আস্তিনে লুকিয়ে রাখা তাস বের করে গেরুয়া শিবির। সাধারণ গাড়িতে রাজ্যপালের কাছে পৌঁছন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সূত্রের খবর, বিজেপির পাশাপাশি এনসিপি বিধায়কদের নামের তালিকা জমা দেন ফড়নবিশ ৷ সরকার গঠনেরও দাবি পেশ করেন৷
advertisement
ততক্ষণে নেহেরু সেন্টারে তিন-দলের বৈঠকেও পট-পরিবর্তন হয়েছে।
রাত ৭.৪৫
বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান অজিত পাওয়ার
বৈঠক ছাড়েন এনসিপির আর এক শীর্ষ নেতাও
সংবাদমাধ্যম তো বটে, দলের অধিকাংশ বিধায়ককেও ঘুণাক্ষরে কিছু জানাতে দেয়নি বিজেপি ও এনসিপি।
রাত ১২.১৫
রাজভবনে পৌঁছন অজিত পাওয়ার
৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের সই করা তালিকা জমা দেন
বিজেপি ও এনসিপিকে মিলিয়ে সরকার গঠন নিয়ে আর কোনও অনিশ্চয়তাই ছিল না
মহারাষ্ট্র বিধানসভা
মোট আসন - ২৮৮
প্রয়োজনীয় আসন - ১৪৫
বিজেপি - ১০৭
এনসিপি - ৫৪
কিন্তু মহারাষ্ট্রে তখনও রাষ্ট্রপতি শাসন। গভীর রাতেই বার্তা যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে।
ভোর ৫টা ৪৭ নাগাদ রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয়
সকাল সাতটা নাগাদ ফের রাজভবনে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তার ১৫ মিনিট পরেই পৌঁছন অজিত পাওয়ার। শুধু তার পরের ছবিটুকুই দেখেছে গোটা দেশ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে অজিত পাওয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোররাতে নয়, এ ক্ষেত্রেও আসল 'খেলাটা' মধ্যরাতেই হয়ে গিয়েছিল, স্কোরবোর্ডটা ভোরবেলা সামনে আনা হয় এই যা।