advertisement
আজকে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণীর ৯৪তম জন্মদিন। আর সেই কারণেই তাঁর বাড়ি যাওয়ার আগেই তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে মোদি লেখেন, ''শ্রদ্ধেয় আদবাণীজি'কে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের প্রার্থনা করি। জনগণের ক্ষমতায়ন এবং আমাদের সংস্কৃতির গর্ব বাড়ানোর জন্য আদবাণী জি'র বহু প্রচেষ্টার জন্য গোটা জাতি তাঁর কাছে ঋণী। তিনি তাঁর পণ্ডিত সাধনা এবং সমৃদ্ধ বুদ্ধির জন্যও প্রবলভাবে সম্মানিত।''
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের নিশানায় এবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! BJP নেত্রীর উপর বেজায় ক্ষুব্ধ 'কেষ্ট দা'
ট্যুইটারে লালকৃষ্ণ আদবাণীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লিখেছেন, ''অবিরত সংগ্রামের মাধ্যমে বিজেপি-র সংগঠনের আদর্শকে মানুষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দলকে সর্বভারতীয় রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে লালকৃষ্ণ আদবাণীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় শ্রী এলকে আডবানিজি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনি সবসময় সুস্থ থাকুন এবং আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।''
প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রবীণ নেতা দেশের সপ্তম উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবাণীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৭ সালের ৮ নভেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে। হিন্দু-সিন্ধ্রি পরিবারের সন্তান আদবাণীর পিতার নাম কিশনচন্দ আদবাণী ও তাঁর মায়ের নাম জানী দেবী৷ পড়াশোনার পাঠ শেষ করে আদবাণী করাচির সেন্ট প্যাট্রিক হাইস্কুলে শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন৷ এরপর তিনি হায়দরাবাদ, সিন্ধের ডিজি ন্যাশানাল স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন৷ দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার-পরিজন পাকিস্তান ছেড়ে মুম্বইতে এসেছিলেন৷ সেখানে ল কলেজ অফ বোম্বে ইউনিভার্সিটি-তে আইন নিয়ে পড়াশুনো করতে শুরু করেছিল লালকৃষ্ণ আদবাণী৷ তাঁর স্ত্রী-র নাম কমলা আদবাণী , তাঁর ছেলে জয়ন্ত আদবাণী ও মেয়ে প্রতিমা আদবাণী৷ ২০০২ থেকে ২০০৪ অবধি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময় উপ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷
আরও পড়ুন: 'বিরোধী দলনেতার পদ চলে যাচ্ছে', শুভেন্দুর 'দলবদল' সম্ভাবনা? বিস্ফোরক দাবি সৌমেনের!
রাজনৈতিক মহল অবশ্য বলছে অন্য কথা। তাঁদের মতে, নরেন্দ্র মোদির জমানায় বিজেপিতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়েছেন লালকৃষ্ণ আদবাণী। দলের মাগদর্শক মণ্ডলীতে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর, মুরলী মনোহর যোশীদের মতো প্রবীণ নেতাদের। সক্রিয় রাজনীতি থেকে তাঁকে বিদায় নিতে একপ্রকার বাধ্যই করা হয়েছিল বলে অনেকের অভিযোগ। এমনকী রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানেও ডাক পাননি আদবাণী। কিন্তু সেই দূরত্ব যেন ক্রমশই ঘুচিয়ে দিতে চাইছেন মোদি। ২০২৪-এর ভোটের আগে নিজের পুরনো ইমেজ তৈরি করতে চাইছেন মোদি। তাই কয়েকদিন আগে ঘোষিত বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতিতে নাম ছিল আদবাণী, যোশীর। এবার প্রবীণ নেতার বাড়িতেও পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।