History TV18-এ শুক্রবার রাত ৮টায় প্রিমিয়ার হয় 'দ্য ভায়াল'- এর। এই প্রথম খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুলে ধরেন কোভিডের লড়াইয়ের গল্প, কীভবে ভারত কোভিডের বিরুদ্ধে জয়ী হল সেই কথা। ডকুতে দেখা যায় ভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারক সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র সিইও আদর পুনাওয়ালা ও ভারত বায়োটেক-এর চেয়ারম্যান ডঃ কৃষ্ণা এল্লা-র সাক্ষাৎকার।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'মনে হয়েছিল এটা যেন একটা যুদ্ধ৷ এমন এক যুদ্ধে যা হয়তো ভারত কোনওদিন মোকাবিলাই করতে পারবে না। কিন্তু বেশ কয়েকটি উন্নত এবং ধনী দেশকে পিছনে ফেলে ভারত শুধু লড়াই শুরু করেনি, জয়ীও হয়েছিল।' হিস্ট্রি টিভি 18-এর একেবারে নতুন ডকুমেন্টারি 'দ্য ভায়াল- ইন্ডিয়া'স ভ্যাকসিন স্টোরি'-তে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমাদের উপলব্ধ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য ছিল। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতিতে যেখানে পুরো দেশ মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে, সেখানে বোঝা গিয়েছিল সম্পদের অভাব হবে। চাহিদা বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নি যত টাকা এবং বাজেট প্রয়োজন, তা প্রয়োগ করা হবে৷'
আরও পড়ুন- 'এটাই নতুন ভারত!' রাহুল শাস্তি পেতেই মুখ খুললেন মমতা, রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা
আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ, জানিয়ে দিল লোকসভার সচিবালয়
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম কোনও দেশের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য আমাদের অপেক্ষা করা উচিত নাকি আমাদের জিনোমিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করা উচিত। এরপর আমরা বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করি এবং সিদ্ধান্ত নি যে আমরা আমাদের ভ্যাকসিন তৈরি করব, খরচ যাই হোক না কেন।'
শুক্রবার রাত আটটায় প্রচারিত ৬০ মিনিটের তথ্যচিত্রে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, "এটা স্পষ্ট ছিল যে আমাদের একটি বড় পরিসরে কাজ করতে হবে তাও কম সময়ে। ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল শুধু ভ্যাকসিন তৈরি করা নয়, বরং দেশের প্রত্যন্ত কোণে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এটি একটি বিশাল জনসংখ্যার কাছে তা পৌঁছে দেওয়া। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি৷ আমরা প্রযুক্তির উপর নির্ভর করেছিলাম, তৃণমূল পর্যায়ের লোকেদের প্রশিক্ষিত করেছিলাম৷ ” তিনি ভারতের মসৃণ টিকাকরণ অভিযানে CoWIN অ্যাপের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "যখন ইতিহাসের পাতা ওল্টানো হবে এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হবে, তখন করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবার এক দৃষ্টান্ত হিসাবে পরিগণিত হবে। আজ, আমি সন্তুষ্ট যে আমার দেশের চিকিৎসক, হাসপাতাল এবং বিজ্ঞানীরা একটি অসাধারণ কাজ করেছেন যার কারণে ভ্যাকসিন পৌঁছতে পেরেছে৷"
দেশের ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যাকে অন্তত একটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে ভারত। ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ উদ্যোগে মাধ্যমে ১০০টি দেশে কোভিড-19 ভ্যাকসিনের ২৩২.৪৩ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে।