গত শনিবার দিল্লি ক্য়ানটনমেন্টের কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে এনসিসি-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মোদি। সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় মোদিকে বলতে শোনা যায়, "দেশকে টুকরো টুকরো করার বাহানা খোঁজা হচ্ছে। ভারতবাসীর সন্তানদের মধ্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা চলছে।" এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এত চেষ্টা সত্ত্বেও ভারতবাসীর মধ্যে এভাবে ভেদাভেদ তৈরি করা যাবে না। মোদি বলেন, "একমাত্র ঐক্য মন্ত্রের বলেই ভারত বলিয়ান হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: যা ভাবছিলেন, তা নয়! বাংলার আবহাওয়ায় এবার বিরাট পরিবর্তন! ফের শীতের স্পেল?
সম্প্রতি মোদি ও গুজরাত হিংসা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে বিবিসি। নাম, 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন'। তথ্যচিত্রটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। কেন্দ্রের তরফে তথ্যচিত্রটি ভারতে দেখানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই তথ্যচিত্রের যাবতীয় লিঙ্ক।
কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন বাম, কংগ্রেস-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
আরও পড়ুন - Indus Water Treaty: সিন্ধু নদের জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান ঘোঁট পাকাচ্ছে, পরিবর্তন করতে চায় ভারত
জেএনইউ-তে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই অভিযোগ করেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও।
সরকারের এহেন অবস্থানকে জনগণের কণ্ঠরোধমূলক আচরণ বলে তোপ দাগছেন বিরোধীরা।