উধমপুরের এয়ারফোর্স স্টেশনে নামার পর বিশেষ হেলিকপ্টারে চেনাব সেতু এলাকায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এই সফর মোদির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ—এপ্রিলে পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর প্রতিশোধমূলক ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর এটি তাঁর প্রথম জম্মু-কাশ্মীর সফর।
চেনাব সেতু উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কাতরায় ৪৬,০০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পও ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এক্সেলেন্স-এর শিলান্যাস এবং উদমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেল লিঙ্ক (USBRL) প্রকল্পের অংশ উদ্বোধন।
সেতুর গঠন ও বৈশিষ্ট্য:
চেনাব সেতুটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচুতে অবস্থিত, যা আইফেল টাওয়ার থেকেও উঁচু। ১৩১৫ মিটার দীর্ঘ এই স্টিল আর্চ সেতুটি ভূমিকম্প এবং তীব্র বাতাস প্রতিরোধ করতে সক্ষমভাবে নির্মিত হয়েছে।
মোদির মতে, এই সেতু শুধুমাত্র প্রকৌশলের এক অসাধারণ নিদর্শনই নয়, এটি জম্মু ও শ্রীনগরের মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় করবে। এখন কাটরা থেকে শ্রীনগর পৌঁছতে মাত্র ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে, যা আগের তুলনায় ২–৩ ঘণ্টা কম।
দুই বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা:
এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কাটরা ও শ্রীনগর থেকে দুটি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনেরও সূচনা করেন। এই ট্রেন দুটি দিনে দুইবার করে চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারা ছিলেন:
প্রধানমন্ত্রীর সফরে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী USBRL প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিক এবং আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
চেনাব সেতু প্রকল্পের তাৎপর্য:
এই সেতু এবং রেল প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রেলপথে একত্রিত করবে। কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং পর্যটনের দিক থেকেও এর তাৎপর্য অপরিসীম।
এদিন কাতরার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ছিল প্রবল উৎসাহ। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।