ঘটনার সূত্রপাত: বিজে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বসে ছিলেন সত্যিন্দর সন্ধু। হঠাৎ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ ও কালো ধোঁয়া দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ১০৮ নম্বরে ফোন করেন।
সত্যিন্দরের তৎপরতা: ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি আগুনে জ্বলন্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে একজন জীবিত যাত্রী রমেশ বিশ্বাস কুমারকে শনাক্ত করেন এবং তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
advertisement
সত্যিন্দর সন্ধু
ঘটনার সময়রেখা:
১.৩৯: বিমান দুর্ঘটনা ১.৪১: সত্যিন্দরের কল ১০৮-এ, এই দুর্ঘটনার প্রথম কল ১.৪৩: সত্যিন্দর ঘটনাস্থলে পৌঁছান ১.৪৪: আহত রমেশ বিশ্বাসকে দেখতে পান ১.৪৬: ১০৮ পরিষেবার প্রথম ৫টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১.৫৫: মোট ২৫টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত
সত্যিন্দরের বর্ণনা: “আমরা তখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি ভয়ংকর বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। দেখি কালো ধোঁয়া উঠছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার টিমকে জানিয়ে ছুটে যাই। সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখি। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “একজন ব্যক্তি গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছিল এবং আবার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার প্লেনের ভিতরে জ্বলছে। আমি ইমার্জেন্সি এক্সিট গেট দিয়ে বেরিয়ে এসেছি।’ প্রথমে বিশ্বাস হয়নি, কিন্তু তাঁর আচরণ ও কথাবার্তায় বুঝতে পারি তিনি সত্য বলছেন। তখনই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
জিতেন্দ্র সাহীর প্রতিক্রিয়া: “আমি তখন হেড অফিসে বসে ছিলাম। সত্যিন্দরের ফোন পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। ভেবেছিলাম মিলিটারি জোনে কিছু ঘটেছে। পরে ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টারে গিয়ে নিশ্চিত হই এটি একটি প্যাসেঞ্জার প্লেন দুর্ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেড ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকে জানানো হয়।”
তিনি আরও জানান, “স্থানীয় বাসিন্দা ও মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের সহায়তায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।” এই তৎপরতা ও সাহসিকতাই একটি প্রাণ বাঁচাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।