যাঁরা ওই ভিডিও দেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই শিউরে উঠেছেন৷ ওই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, কোনও একটি স্টেশনে নিজের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে চলন্ত একটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি৷ প্রথমে কুকুরটিকে কোনওক্রমে ট্রেনে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ তখনই ঘটে বিপত্তি৷
advertisement
পা ফস্কে কুকুরটি প্রথমে ট্রেনের দরজা থেকে পড়ে যায়৷ ভারসাম্য রাখতে না পেরে কুকুরটির শরীরের পিছনের অংশটুকু ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে পড়ে যায়৷ কুকুরটির সঙ্গে থাকা ব্যক্তি তখন পোষ্যকে টেনে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন৷ কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে কুকুরটি ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের ফাঁক গলে নীচে গলে যায়৷ ততক্ষণে প্ল্যাটফর্মে থাকা অন্যান্য যাত্রীরাও এগিয়ে আসেন৷ যদিও ট্রেনটি থামেনি৷ ভিডিও-টিও ওখানেই শেষ হয়ে যায়৷ ফলে কুকুরটি পরিণতি কী হল তা জানা সম্ভব হয়নি৷
যদিও এনডিটিভি-তে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই কুকুরটি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গিয়েছে৷ ওই ভাইরাল ভিডিও-র কমেন্ট বক্সেও একজন লিখেছেন, কুকুরটি নাকি কোনওভাবে লাইনের উল্টো দিকে চলে যায়৷ রেলকর্মীরাই কুকুরটিকে উদ্ধার করে সেটির মালিকের হাতে তুলে দেয়৷ যদিও এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷ রেলের পক্ষ থেকেও এই ঘটনা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷
তবে কুকুরটির পরিণতি যাই হোক না কেন, তার জীবন সংশয়ের জন্য সারমেয়টির মালিকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকেই দায়ী করেছেন বেশিরভাগ নেট ব্যবহারকারী৷ ক্ষোভের সঙ্গে কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ওই ব্যক্তিকে কোনও পোষ্যের ধারেকাছেই ঘেঁষতে দেওয়া উচিত না৷’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘হয়তো ওই কুকুরটি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে৷ কিন্তু তাহলেও ওই ব্যক্তির জেলে যাওয়া উচিত৷’
তবে কুকুরটির মালিকের পাশেও দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন নেট ব্যবহারকারী৷ একজন লিখেছেন, ‘এই মানুষটিকে সমাজমাধ্যমে অকারণ আক্রমণ করা হচ্ছে৷ সবারই ভুল হয়৷ উনি ইচ্ছাকৃতভাবে কুকুরটির ক্ষতি করতে চাননি৷ উনি ট্রেনটি মিস করেছিলেন৷ তাই কোনওভাবে কুকুরটিকে চলন্ত ট্রেনে তুলতে গিয়েই সেটি ট্রেনের গতির কারণে অথবা ঘাবড়ে গিয়ে পড়ে যায়৷ যাঁরা কুকুরটির প্রতি এত সমবেদনা দেখাচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে মানুষের প্রতিও একটু সহানুভূতিশীল হোন৷’