পেগাসাস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীরা টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের দাবি করেছেন। যদিও কমিটি আবেদন জানিয়েছে যেন তাদের রিপোর্ট প্রকাশে না আনা হয়। প্রাক্তন বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রনের।
পেগাসাস নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনের ঝড় ওঠে। বিরোধীদের দাবি, দেশের মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে আরি পাতছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: নিজামে আসছেন একের পর এক ব্যাংকের কর্মীরা, অনুব্রতর 'অজানা' তথ্যের খোঁজে সিবিআই
advertisement
এদিনের শুনানিতে টেকনিক্যাল কমিটি জানিয়েছে, সরকার তদন্তে সহযোগিতা করছে না। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন, " একটা কথা কমিটি জানিয়েছে, ভারত সরকার সহযোগিতা করছে না। যে কথা আপনারা বলছেন, সেটাই বলতে হবে।" তিনি বলেন, " এটা একটা বড় রিপোর্ট দেখা যাক, আমরা কোন দিকটা নিতে পারি। এই রিপোর্ট ওয়েবসাইটে তোলা হবে। কোন সমস্যা নেই।"
আরও পড়ুন: আর নয় কেষ্ট, এবার তিন বিধানসভার সংগঠন দেখবেন পূর্ব বর্ধমান নেতৃত্ব
ওয়াশিংটন পোস্টের একটি ১৭ সদস্যের দলের পেগাসাস প্রজেক্ট নামক রিপোর্ট এ বিষয়ে সবিস্তারে তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের সাহায্য করেছে প্যারিসের অলাভজনক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ। এই রিপোর্ট বলছে, পেগাসাস হলো এমন একটি স্পাইওয়্যার যা যে কোনও মুহূর্তে হানাদারি চালাতে পারে। ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপ যারা নিজেদের সইবার ইন্টেলিজেন্সের ওয়ার্ল্ড লিডার বলে, পেগাসাস স্পাইওয়্যা তাদেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে ৪০টি দেশের সাতটি সরকার এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এ সংস্থার প্রধান অফিস রয়েছে বুলগেরিয়ার সাইপ্রাসে। সংস্থার শেয়ার সবথেকে বেশি রয়েছে না নোভালপিনা ক্যাপিটল নামক লন্ডনের একটি প্রাইভেট ইকুউটি ফার্মের হাতে। রিপোর্ট বলছে সারাবিশ্বে অন্তত ৫০ হাজার ফোনে স্পাইওয়্যার ইনজেক্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০০ ভারতীয়ও রয়েছেন।