তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানায় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ওই তারিখেই লোকসভা নির্বাচন হবে, এমনটা নয়, তবে ওই তারিখ ধরে এগোনো হচ্ছে। যে বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল হয়েছিল সেই বিজ্ঞপ্তিতে দিল্লির ১১ জন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর জন্য সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে কমিশন ১৬ এপ্রিলের কথা বলেছে।
advertisement
এই দিনটি ধরেই ইলেকশন প্ল্যানার নির্বাচন শুরু ও শেষের তারিখের পরিকল্পনা করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ওই তারিখটি মাথায় রেখে ইলেকশন প্ল্যানারে বর্ণিত নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম শুরু ও শেষ করতে হবে। আর এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতেও।
যদিও এক প্রকার বাধ্য হয়েই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য এই নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এ-ও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন সঠিক সময় ভোটের দিন জানাবে। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তরফে ও বলা হয় এত আগে থেকে নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঠিক করতে পারে না।
আরও পড়ুন : সকাল সকাল শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ED, তালা ভেঙে ঢুকল তদন্তকারী সংস্থা
ফলত, সব মিলিয়ে যে চর্চা শুরু হয়েছিল সন্ধ্যেবেলায় তার অবস্থান স্পষ্ট করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়েছে। এ রাজ্য একাধিক প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ পর্বও চলেছে। কমিশন সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসতে পারে রাজ্যে।