মাত্র তিনদিন আগেই একই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সংসদ। তখন ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফলে মোট সংখ্যা মিলিয়ে ৯২ জন বিরোঘী সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
লোকসভায় সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অসিত মাল, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়দের নামও। গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে এই সাংসদদের।
advertisement
এ দিনও সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ১৩ তারিখের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে হই হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দলেরর সাংসদরা। লোকসভার ভিতরে ঢুকে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে বলে দাবি করেন বিরোধী পক্ষের সাংসদরা৷ বিরোধীদের হট্টগোলের মুখে বার বারই অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ শেষ পর্যন্ত বেলা তিনটেয় গোটা দিনের মতো অধিবেশন মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ৷
আরও পড়ুন, ‘কারও ঐশ্বর্যকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকতেই পারে!’ চিরঞ্জিতের নিশানায় দলের কোন বিধায়ক?
আরও পড়ুন, দক্ষিণেশ্বর থেকে স্বাভাবিক হল মেট্রো পরিষেবা! রবিবার দিনভর হয়রানির পর যাত্রীদের স্বস্তি
রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন শান্তনু সেন,
সুখেন্দু শেখর রায়, নাদিমুল হক, অধীর রঞ্জন, মৌসম নুর, প্রকাশ চিক বরাইক, সমীরুল ইসলাম। লোকসভার অধ্যক্ষএ দিন অধিবেশনের শুরুতেই জানান, সংসদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে৷ উচ্চপর্যায়ের তদন্তও চলছে৷ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার জন্যও বিরোধী পক্ষের সাংসদদের অনুরোধ করেন অধ্যক্ষ।
সাসপেন্ড হওয়ার পর অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এরা গায়ের জোরে সংসদ চালাচ্ছে৷ সংসদকে এরা বিজেপি, আরএসএস-এর পার্টি অফিস বানাতে চাইছে৷ সেটা তো হতে দেওয়া যায় না৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বাইরে বিবৃতি দিতে পারেন, সংসদে এসে বক্তব্য রাখতে তাঁদের কী অসুবিধা?’