তাঁর প্রশ্ন ছিল, বাংলা তথা ভারতের এই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কোনও বিশেষ ডিসপ্লে গ্যালারি নির্মাণের পরিকল্পনা আছে কি কেন্দ্রের? যদি তা থাকে তবে বিস্তারিতভাবে জানানো হোক সেই তথ্য। আর যদি এই রকম কোনও পরিকল্পনা না থেকে থাকে তবে তার কারণও ব্যাখ্যা করা হোক।
advertisement
চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ, যা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন নামেও পরিচিত, এটি ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ছিল ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল সংঘটিত সূর্য সেন-এর নেতৃত্বে কয়েকজন স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীর ব্রিটিশ পুলিশ ও সহায়ক বাহিনীর চট্টগ্রামে অবস্থিত অস্ত্রাগার দখলের প্রয়াস।
ঋতব্রতের এই প্রশ্নে অত্যন্ত অস্বস্তিতে পড়ে যান কেন্দ্রের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। বৃহস্পতিবার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করে নেন, চট্টগ্রামের যুববিদ্রোহীদের অবদান তুলে ধরতে আন্দামান সেলুলার জেলে কোনও আলাদা গ্যালারি নেই। যদিও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গ্যালারিতে চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের বীর বিপ্লবীদের ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: SIR নিয়ে ‘ভয়’! কেন কেউ হতেই চাইছেন না BLO, এমনই রিপোর্ট আসছে CEO দফতরে
কিন্তু ঋতব্রতর বক্তব্য, মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক যুববিদ্রোহের ১৭ জন বিপ্লবীকে এখানে বন্দি রাখা হয়েছিল। অথচ এখানে ১৬ জনের ছবি রয়েছে। বাকি একজনের ছবি নেই কেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, যুববিদ্রোহের এই বীর বাঙালি সন্তানদের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কিছুই তুলে ধরা হয়নি এখানে।
কেন্দ্রের এই ভূমিকায় গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর মন্তব্য, দেশ জুড়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি ও কেন্দ্র। স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাঙালির অবদান মোছার চেষ্টা করছে তারা। এই অপচেষ্টা ব্যর্থ হবেই।