এ বিষয়ে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ''আগেই সমস্ত কৌশল আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে আর কিছু আলোচনা করার নেই। সেই কারণেই দিনের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল।'' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সকালে খাড়গের ঘরে বৈঠকে যোগ দেয় তৃণমূল। দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। তাতে হতবাক এবং অভিভূত কংগ্রেস নেতৃত্ব। সোমবার দুপুর ২ টো শুরু হবে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন হোক বা বাজেট পর্যালোচনা হোক, পুরোদস্তুর সংসদকে কাজে লাগিয়ে ইস্যুটি তুলতে চায় তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন: আয়কর ব্যবস্থা সরল হোক, চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী! নতুন কর কাঠামো নিয়ে আশাবাদী নির্মলা
আরও পড়ুন: 'ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর 'নিরাপদ'..., SBI-LIC নিয়ে বড় দাবি নির্মলা সীতারমণের!
এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এলআইসি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। গতকালের মত এ দিন সকালেও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠক করে বিরোধী দলগুলি। উল্লেখযোগ্যভাবে বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের কেউই। বৈঠকে যোগ দেয় ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ, শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, আইইউএমএস, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আম আদমি পার্টি এবং কেরল কংগ্রেস।
বিরোধী ঐক্যের আঁচ আছড়ে পড়ে সংসদের উভয়কক্ষে। একক ভাবে এবং সমবেতভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে আলোচনা চাওয়া হবে। সকালে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা। স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তোলে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "আমরা এর তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি চাই। না হলে প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চাই। এলআইসি, সেবি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে টাকা জমা রেখে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সত্য জানতে আমরা সংসদে আলোচনা চাই।" সকালে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উভয়কক্ষ। পরে সভা শুরু হলে দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা।
রাজীব চক্রবর্তী