ছেলের অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ প্রৌঢ়ার দাবি, সৌরভকে খুনের পর প্রেমিক সাহিলকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল মুসকান৷ তারা দু’জনে মিলে সৌরভকে হত্যা করে নিথর দেহ ১৫ টা টুকরো করে ড্রামে ভরে সেটার মুখ বন্ধ করে দেয় সিমেন্ট দিয়ে৷ ঘরেই রাখা ছিল ড্রামটি৷ এর পর বাড়িওয়ালা তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন৷ সে সময় মিস্ত্রিরা নিথর দেহ ভরা ড্রাম সরাতে গেলে আচমকাই এর ঢাকনা খুলে যায়৷ বেরিয়ে আসে তীব্র দুর্গন্ধ এবং মৃতদেহের খণ্ড৷ সৌরভের মায়ের আরও অভিযোগ, এই ব্যাপারে সবই জানতেন মুসকানের মা৷ কিন্তু তিনি প্রথম থেকেই ভুলপথে চালিত করে গিয়েছেন৷
advertisement
সৌরভের দিদির অভিযোগ, এর আগে বাড়ি ছেড়ে ৫ দিন অন্য কোথাও ছিল মুসকান। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীর সব টাকাও সে হস্তগত করেছিল বলে অভিযোগ। গত ৪ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌরভ। ২৮ ফেব্রুয়ারি সৌরভের মেয়ের ছয় বছর পূর্ণ হয়, যার জন্য তিনি লন্ডন থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, মুসকান ও সাহিল সৌরভকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪ মার্চ সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় মুসকান এবং সাহিল তাকে ছুরি দিয়ে খুন করে। এরপর, মুসকান ও সাহিল মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে একটি ড্রামে ভরে এবং ভেজা সিমেন্ট দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেহটি ফেলে দেয়। এই ঘৃণ্য ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁদের মেয়ের ফাঁসি চেয়েছেন মুসকানের বাবা-মা।