কিন্তু, হঠাৎ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কেন? পঁচেট ৪ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান প্রণব করের মন্তব্য়, "জনপ্রতিনিধিদের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, প্রধানের স্বামীর নামও প্রধান আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। এর প্রতিবাদেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।"
প্রণববাবুর দাবি, রীতিমতো মাটির বাড়িতে খড়ের ছাউনির নীচে সপরিবার বসবাস করেন তাঁদের প্রধান। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি পাওয়ার ন্যায্য অধিকারী তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রধানের স্বামীর নাম ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাতেই অভিমান হয়েছে পঁচেট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের।
advertisement
যদিও এই বিষয়ে পদত্যাগী প্রধানকে ফোন করা হলে তিনি দাবি করেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করার কথা ভাবছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, "তৃণমূলের প্রধানের মূল উদ্দেশ্য নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও কাটমনি খাওয়া।" এদিকে, প্রধানের পদত্য়াগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন পটাশপুর ২ নং ব্লকের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথির জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "যাঁরা কাজ করতে পারছেন না, সেইসব প্রধান, উপপ্রধান বা জনপ্রতিনিধিরা পদত্যাগ করুন।"
এরপরেই পদত্য়াগ করতে দেখা যায়, কাঁথির মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে। কিছুদিনের মধ্যেই কাঁথির দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও ইস্তফার হিড়িক পড়ে যায়। পদত্যাগ করেন নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া পঞ্চায়েতের প্রধানও। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে পঁচেট ৪ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগ করার খবর রটল।