জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে একটি অসামরিক বিমান 6E 2142 প্রায় ২২০ জন যাত্রী নিয়ে শ্রীনগর যাচ্ছিল৷ কিন্তু, হঠাৎ করেই মাঝ আকাশে আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে৷ শুরু হয় প্রবল শিলাবৃষ্টি, সঙ্গে এলোপাথাড়ি হাওয়া৷ ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় বিমানটির৷
আরও পড়ুন : এবার খাস বারাণসীতেই পাক চর!…৬০০ পাকিস্তানির সঙ্গে যোগাযোগ, রহস্য বাড়াচ্ছে এক মহিলাও
advertisement
অমৃতসরের আকাশে ওড়ার সময় বিমানের পায়লট দেখেন পরিস্থিতি গুরুতর, তখনই নিরাপত্তার খাতিরে একটু পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করার কথা ভাবেন তিনি৷
দুর্ঘটনা এড়াতে খুব সামান্য সময়ের জন্য লাহোর ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কাছে অনুমতি চান বিমানের পায়লট৷ কিন্তু, অভিযোগ দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনার কথা জানা সত্ত্বেও সেই আর্জি নাকচ করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফে৷ প্রসঙ্গত, এই বিমানে জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়া তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও ছিল৷
পাকিস্তান তার আকাশ ব্যবহার করতে না দেওয়ার নির্ধারিত পথেই শ্রীনগরের উদ্দেশে উড়তে থাকে যাত্রিবাহী বিমানটি৷ পথে ভয়ানক শিলাবৃষ্টির মুখেও পড়ে৷ কিন্তু শেষমেশ নিরাপদে শ্রীনগরে অবতরণ করে৷ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে DGCA৷
যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মানস ভুঁইয়া এবং মমতা ঠাকুর। অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সাগরিকা ঘোষ বলেন, “প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি একটা অভিজ্ঞতা। আমি ভেবেছিলাম আমার জীবন শেষ। সবাই চিৎকার করছিল, প্রার্থনা করছিল এবং ভয় পাচ্ছিল।”
তিনি আরও বলেন যে, ঝড়ে বিমানের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তবে পায়লটের দক্ষতার জন্য বিমান নিরাপদে মাটি ছুঁয়েছে৷
বিমানের ভিতরের ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, টার্বুলেন্সের সময় বিমানটি যখন প্রচণ্ড দুলছিল, তখন যাত্রীরা দৃশ্যতই কাঁপছিলেন – কেউ কেউ কাঁদছিলেন, আবার কেউ কেউ প্রার্থনা করছিলেন। ওভারহেড বিনগুলো খটখট করে শব্দ করছিল এবং যাত্রীরা তাদের আসন আঁকড়ে বসেছিলেন।
পহেলগাঁও হামলার পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করার মতো একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত৷ পাল্টা পাকিস্তানও তাদের আকাশ ব্যবহারের জন্য ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়৷