TRENDING:

পহেলগাঁওতে ২৬ পর্যটক খুনের পিছনে তারাও! ২ কাশ্মীরি গ্রেফতার হতে যা জানা গেল, ভয়ঙ্কর!

Last Updated:

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু ও ১৬ জন আহত হওয়ার ঘটনায় NIA দুজনকে গ্রেফতার করেছে। পারভেজ ও বশীর পাকিস্তানি লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পহেলগাঁও, কাশ্মীর — ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তদন্তে বড় অগ্রগতি। সম্প্রতি ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু ও ১৬ জনের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, যারা ওই হামলায় যুক্ত জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল বলে অভিযোগ। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন — পারভেজ আহমদ জোথার (বটকোট, পাহেলগাম) এবং বশীর আহমদ জোথার (হিল পার্ক, পহেলগাঁও)।
এই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে প্রবেশ করে এবং পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।
এই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে প্রবেশ করে এবং পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।
advertisement

জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাই খুলে দিল মুখ, সামনে এল পাকিস্তানি যোগ

তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে পারভেজ ও বশীর জানায়, তারা হামলার সময় তিনজন সশস্ত্র জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল। তারা আরও দাবি করে, ওই তিনজনই ছিল পাকিস্তানের নাগরিক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT)-র সক্রিয় সদস্য।

চিন যেভাবে পাকিস্তানকে শক্তিশালী করছে, আর উপায় নেই! নতুন চাল, কোন দেশের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত?

advertisement

দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে ভারতের! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে কী কী বড় ক্ষতি হবে দেশের?

এই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে প্রবেশ করে এবং পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়। হামলার পর তারা পারভেজ ও বশীরের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল এবং এখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করছিল।

NIA-র তৎপরতায় উঠে আসছে ভয়াবহ চক্রান্তের চিত্র

advertisement

ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির এক আধিকারিক জানান, এই গ্রেফতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পেছনে লস্কর-ই-তইবা-র প্রত্যক্ষ যোগসূত্র এবং স্থানীয় স্তরে তাদের জন্য আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, জঙ্গিদের চলাচল ও পালাতে সহায়তা করেছিল।

জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ফের প্রশ্ন

advertisement

এই ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন অঞ্চল পাহেলগামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে জঙ্গিরা পর্যটকদের টার্গেট করল, কোথা থেকে তারা অস্ত্র জোগাড় করল, কারা স্থানীয়ভাবে সাহায্য করল— সবই এখন তদন্তের আওতায়।

NIA-র তদন্ত অনুযায়ী, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, পর্যটনে ভীতি ছড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা।

advertisement

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংস্থার ছায়া

লস্কর-ই-তইবা-র মতো সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত। ২৬/১১ মুম্বই হামলা থেকে শুরু করে একাধিক বড় হামলার সঙ্গে এই সংগঠনের নাম জড়িয়েছে। এনআইএ সূত্রে খবর, এই সাম্প্রতিক হামলায় তাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানি মদতপ্রাপ্ত জঙ্গি চক্র এখনও কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

জম্মু-কাশ্মীরে ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানঘেঁষা জঙ্গি সংগঠন। স্থানীয় স্তরে যাঁরা এদের আশ্রয় দিচ্ছে, তাঁদের চিহ্নিত করতে এনআইএ ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা একযোগে কাজ করছে। এই ঘটনায় নিহত ২৬ জন নিরীহ পর্যটক ও আহতদের জন্য গোটা দেশ আজ ক্ষুব্ধ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপের দাবি উঠছে সর্বস্তর থেকে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
পহেলগাঁওতে ২৬ পর্যটক খুনের পিছনে তারাও! ২ কাশ্মীরি গ্রেফতার হতে যা জানা গেল, ভয়ঙ্কর!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল