২ মে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তান থেকে আসা যে কোনও পণ্যের ডিরেক্ট বা ইনডিরেক্ট আমদানি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷’’ এবিষয়ে ২০২৩ সালের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির একটি বিষয় উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডিরেক্টরেট জেনারেল ওই নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং জন নীতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই নিষেধাজ্ঞা ভাঙতে গেলে ভারত সরকারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন হবে৷
সাধারণত, পাকিস্তান থেকে রকসল্ট, ড্রাই ফ্রুট, তামা, কাচের জিনিসপত্র, জৈব রাসায়নিক, সালফার, ফল এবং বাদাম এবং কিছু তেলবীজ আমদানি করা হয় ভারতে৷
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় গুলি করে খুন করা হয় ২৬ নিরপরাধ পর্যটককে৷ ঘটনার পিছনে পাকিস্তানি জঙ্গিরা ছিল বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা৷ হামলা চালিয়েছিল পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ৷
হামলার পরেই ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত৷ একমাত্র এই পথেই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলত৷ হামলার পর, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমে তলানিতে পৌঁছেছে৷ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত৷ বন্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমা৷ ভারতে পাক হাই কমিশনের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে এবং ভারতে বসবাসকারী সকলকে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা দিয়ে দিয়েছে, যার মধ্যে চিকিৎসা ভিসাধারী পাকিস্তানিরাও অন্তর্ভুক্ত।