সূত্রের খবর, হাইপ্রোফাইল রোগীকে দেখতে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও ভিড় জমাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে মন্ত্রী তথা ক্রিকেট দুনিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। আর তাতেই বাড়ছে সমস্যা। আহত ঋষভকে ব্যক্তিগত স্যুইটে রাখা হলে এই সমস্যা অনেকটাই কমতে পারে বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
আরও পড়ুন: 'দিদির সুরক্ষা কবচ', পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের
advertisement
গত ৩০ ডিসেম্বর, ভোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে ঋষভের গাড়ি। সেই সময় তিনি গাড়িতে একাই ছিলেন। ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকবার পাল্টি খেয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। তারপর তাতে আগুন ধরে যায়। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাসচালক এবং হাইওয়ের কর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জ্বলন্ত গাড়ি থেকে ঋষভকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন - Joka Metro: ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়েই যাত্রা শুরু জোকা মেট্রোর
দুর্ঘটনার পর পরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রব ওঠে, তবে কি ঘটনার দিন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ক্রিকেটার?
আর অন্যদিকে, ঋষভের দুর্ঘটনার জন্য হাইওয়ের বেহাল দশাকে দায়ী করে দিল্লির জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (DDCA)। দাবি করা হয়, হাইওয়ের খানাখন্দ এড়াতে গিয়েই ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়েছে ঋষভের গাড়ি।
তবে গত রবিবার সব রটনায় ইতি টেনে পুলিশ জানায়, ভোররাতে দিল্লি-উত্তরাখণ্ড হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় ঘুমে চোখ লেগে গিয়েছিল ঋষভের। আর তাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি।
বর্তমানে দেহরাদুনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঋষভের চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যেই, বছর পঁচিশের এই ক্রিকেটারের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ডের পুস্কর সিং ধামির সরকার। তবে, সূত্রের খবর, ঋষভের চিকিৎসা কী ভাবে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রয়োজনে ঋষভকে বিদেশেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে।