আজ, রবিবার শেষ হচ্ছে কোবিন্দের মেয়াদ৷ সোমবার থেকে রাষ্ট্রপতির পদে নতুন মুখ৷ রামনাথ কোবিন্দের উত্তরসূরী হতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু৷ "উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট গ্রাম থেকে ভারতের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে তাঁর যাত্রা দেশের গণতন্ত্রের কাছে বিস্ময়কর এবং অনুপ্রেরণামূলক", এমনটাই বললেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷ বিদায়ী রাষ্ট্রপতির জন্য সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিড়লা জানান, "রাজনৈতিক ন্যায্যতার প্রতি কোবিন্দের প্রতিশ্রুতি উত্তরসূরীদের অনুপ্রাণিত করবে।" সংসদের সেন্ট্রাল হলের একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় স্পিকার এও বলেন, "সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ তাঁর বিচক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলির প্রতি গভীর উপলব্ধি এবং তাঁদের সমাধানের প্রতি নিজের অসীম আগ্রহকেই প্রতিফলিত করেছে বারবার। তাঁর ভাষণ অনুপ্রাণিত করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। তাই সমস্ত দলের নেতাদের পূর্ণ সমর্থনও পেয়েছেন তিনি৷ সমস্ত সাংসদ তাঁকে অভিভাবক হিসাবে দেখেছেন৷"
advertisement
আরও পড়ুন- ভারতের জনসংখ্যা কমে যেতে পারে ৪১ কোটি! রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষার রিপোর্টে চমক
১৯৯৪ সালে রাজনীতিতে প্রথম পা রাখেন এই দলিত নেতা৷ ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শপথগ্রহণ করেন কোবিন্দ৷ ২০০৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ১২ বছর পরপর দু’টি দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ২০১৫-২০১৭ সালে বিহারের রাজ্যপাল৷ প্রায় ১৬ বছর দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অনুশীলন করেছেন রামনাথ কোবিন্দ।
আরও পড়ুন- গোয়াতে বেআইনি বার চালান স্মৃতি ইরানির কন্যা! কংগ্রেসের অভিযোগে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী
গত শুক্রবার, ২২ জুলাই রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বিদায়ী নৈশভোজের আয়োজন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হোটেল অশোকায় বিদায়ী রাষ্ট্রপতির জন্য ছিল ব্যাপক আয়োজন। সস্ত্রীক উপস্থিত হয়েছিলেন কোবিন্দ। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা নয়াদিল্লির হোটেলে নৈশভোজে যোগ দেন। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।