TRENDING:

লাদেনের দেহরক্ষী থাকেন জার্মানিতে, পান মোটা টাকার মাইনেও!

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বার্লিন: এক সময় ওসামা বিন লাদেনের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন এই ব্যক্তি ৷ নাম সামি এ ৷ আফ্রিকার তিউনিসিয়ায় বাসিন্দা সামি ২০০০সালে আফগানিস্তানে আল-কায়দার প্রধানের হয়ে কাজ করতেন ৷ এখন তিনি থাকেন জার্মানির বোচুমে ৷
advertisement

তাঁকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে জার্মান সরকার প্রতিমাসে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অঙ্কের অর্থ প্রদান করে ৷ বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, জার্মান সরকার প্রতি মাসে ১৪০০ ডলার (প্রায় ৯৩ হাজার টাকা) করে দেয় ৷ জানা যাচ্ছে যে, সামি এ ওই ব্যক্তির আসল নাম নয় ৷ জার্মানির সুরক্ষা সংক্রান্ত নীতি অনুযায়ী তার নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ তবে বলা হয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দু’দশক আগে জার্মানিতে আসেন সামি ৷ এখন তাঁর বয়স ৪২ বছর ৷ জার্মানিতে তিনি তাঁর স্ত্রী এবং চার সন্তানকে নিয়ে বাস করছেন ৷

advertisement

২০০০ সালে ওসামা বিন লাদেনের জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৫ সালে জার্মানির ডাসেলড্রফ আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সামির কথা জানতে পারে প্রশাসন । শুনানির সময় এক সাক্ষী আদালতকে জানান যে ওসামা বিন লাদেনের হয়ে সামি এ নামে এক ব্যক্তি কাজ করে। যদিও ওই সাক্ষী আদালতকে জানান যে তার সঙ্গে আল–কায়দার কোনও যোগ নেই । বিচারকের কাছে সাক্ষীর বয়ান বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় । ২০০৬ সালে আদালত সামিকে ‘‌জনগণের জন্য গুরুতর বিপদ’‌ বলে ঘোষণা করে এবং তাকে জার্মানিতে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

তবে সামিকে আদালতের পক্ষ থেকে ক্ষমা করে দেওয়া হলেও এখনও তার সঙ্গে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। তাকে প্রতিদিনই স্থানীয় থানায় গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসতে হয়। সামিকে জার্মানিতে রাখতে চায়নি সরকার । অন্যদিকে, তিউনিসিয়াতেও ফেরত যেতে নারাজ ছিলেন সামি । কারণ তাঁর আশঙ্কা ছিল, সেখানে তাঁর ওপর অত্যাচার হতে পারে । ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিমান হাউজ্যাক করে নিউইয়র্কের ওর্য়াল্ড ট্রেড সেন্টার উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৩ জন জঙ্গি জার্মানির হ্যামবার্গের আল–কায়দার সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
লাদেনের দেহরক্ষী থাকেন জার্মানিতে, পান মোটা টাকার মাইনেও!