মঙ্গলবার সকালে প্রথমে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। সেই আলোচনার পরেই সংসদের গান্ধি মূর্তির সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ শান্তা ছেত্রী ও দোলা সেন। ১১টায় যখন সংসদের অধিবেশ শুরু হয়, শুরুতেই বিরোধীরা তুলতে শুরু করেন সাসপেনশনের ইস্যু। রাজ্যসভায় বলতে শুরু করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আরও এক বার বিবেচনার কথা বলেন। কিন্তু সে কথা কার্যত নাকচ করে দেন বেঙ্কাইয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথেই বাকিরা? কংগ্রেসের বৈঠক এড়ালো জোটসঙ্গী শিবসেনাও
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়েদেন, ক্ষমা করার কোনও প্রশ্নই আসে না। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের দোষ অনেক। তাঁরা সংসদ কক্ষের নিয়ম ভেঙেছেন, কাগজ ছুঁড়ে মেরেছেন, অনৈতিক আচরণ করেছেন, তাই তাঁদের শাস্তি প্রাপ্য। শাস্তি দেওয়ার পরেও তাঁরা কেউ ক্ষমা চাইতে আসেননি। বরং পাল্টা এই শাস্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। যদি ক্ষমা চাইতেন, তাহলে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত একবার বিবেচনা করে দেখা যেত। কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই ক্ষমা চাইলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার বিবেচনা করার প্রশ্নই আসে না। এ কথা বলে সংসদে মল্লিকার্জুনকে থামিয়ে দিয়ে চেন্নাইয়ের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করতে বলেন বেঙ্কাইয়া। সঙ্গে সঙ্গে খেপে ওঠেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: গান্ধি মূর্তির সামনে বসে পড়লেন দোলা, শান্তা, দিল্লিতে রণং দেহি তৃণমূল
তার পরেই খবর পাওয়া যায়, ক্ষমা চাওয়ার পথে হাঁটতে চায় না বিরোধীরা। শুরু হয় চেঁচামেচি। এর পরেই বিরোধীরা ওয়াক আউট করতে শুরু করেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বে রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যায় ১৫টি বিরোধী দল। সেই বিরোধী দল বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বেরিয়ে আসে তৃণমূলও।ঘাসফুলের সাংসদরা সরাসরি এসে বসে পড়েন গান্ধি মূর্তির সামনে। যেখানে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ চালাচ্ছেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূলের সাংসদরা। শোনা যাচ্ছে, যদি রাজ্যসভায় শাস্তি প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করতে পারে বিরোধীরা।
রাজীব চক্রবর্তী