এবারের বৈঠকের মূল উদ্যোক্ত কংগ্রেস৷ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ছোট বড় সব বিরোঝী দলগুলিকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার আবেদন করেছেন৷ বড় দলগুলির পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক ছোট দলগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ যাতে বিজেপি বিরোধী সব ভোটকে এক জায়গায় আনা যায়৷ যদিও সেই কাজটাই সবথেকে কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: ফ্যাক্টর সেই মমতা! কীভাবে এক ফোনেই কংগ্রেস এবং আপ-এর সমস্যা মেটালেন তৃণমূলনেত্রী..
এখনও পর্যন্ত যা খবর, অন্তত চব্বিশটি দলের নেতারা এই বৈঠকে যোগ দিতে বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত থাকবেন৷ এর আগে গত ২৩ জুন পটনায় ১৫টি বিরোধী দল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিল৷ সেই বৈঠকের পর কংগ্রেস-আপের মতপার্থক্য সামনে এলেও বাকি দলগুলি বিজেপি-র বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার বিষয়ে নীতিগত ভাবে সহমত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল৷
জানা গিয়েছে, আজ প্রথমে নৈশভোজে মিলিত হবেন বিরোধী দলের নেতারা৷ সেখানে প্রথমে নিজেদের মধ্যে একপ্রস্ত আলোচনা করতে পারেন বিরোধী নেতারা৷ যদিও এই নৈশভোজে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনা বেশি বলেই সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর৷ মঙ্গলবারই বিজেপি বিরোধী জোটের অঙ্ক এবং কৌশল কী হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বিরোধী শিবিরের নেতারা৷
প্রাথমিক ভাবে এই বৈঠকে আম আদমি পার্টির উপস্থিতি নিয়ে সংশয় ছিল৷ যদিও বেঙ্গালুরুর বৈঠকের আগে দিল্লি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস৷ এর পরেই বেঙ্গালুরুর বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল৷
কংগ্রেস সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে রাহুল গান্ধির পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে পারেন সনিয়া গান্ধিও৷ পটনার বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না৷ এর পাশাপাশি শিবসেনার (ইউবিটি) প্রধান উদ্ভব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, সঞ্জয় রাউত বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷ তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷
এ ছাড়াও পটনার বৈঠকে উপস্থিত ছিল না, এমন আটটি নতুন দলের প্রতিনিধিরা বেঙ্গালুরুর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর৷ তার মধ্যে রয়েছে এমডিএমকে, কেডিএমকে, ভিসিকে, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (জোসেফ) এবং কেরল কংগ্রেস (মণি)৷
