তিনি সংসদে বলেন, “পহেলগাঁও হামলার রাত থেকেই আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এই জঙ্গিদের দেশ থেকে বেরোতে দেওয়া যাবে না। ২২ মে আইবির কাছে দাচিগ্রামে এই জঙ্গিদের খোঁজ মেলে। তারপর থেকে টানা সার্ভিলেন্স চলছিল”। তিনি জানান, ২২ জুলাই তথ্য নিশ্চিত হয়, জঙ্গিরা সেখানেই আছে। তারপর চার প্যারা অপারেশন লিড করে। এবং কাল অবশেষে এই তিন জঙ্গি— সুলেইমান, আফগান, জিবরানকে নিকেশ করে”।
advertisement
সেই সঙ্গে কী ভাবে ওই জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করা গেল, সেই নিয়েও সংসদে জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমাদের এনআইএ ওদের সহযোগীদের আটক করে রেখেছিল। কাল সেই সহযোগীদের দিয়ে নিশ্চিত করা হয় এই জঙ্গিদের”।
পাশাপাশি, এই জঙ্গিরাই যে সেদিন হামলা করেছিল, সেই নিয়েও জানান অমিত শাহ। বাইসরন ঘাঁটিতে যে খালি গুলির খোল পাওয়া গিয়েছিল, সেই গুলির সঙ্গে এই জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার বন্দুকের গুলির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গিয়েছে। এই জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার বন্দুক দিয়েই পহেলগামে নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছিল, তা থেকেই নিশ্চিত করা হয়।
তবে এই জঙ্গিরা যে পাকিস্তানেরই সেই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “এই তিন জঙ্গির মধ্যে দুজনের পাকিস্তানের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে। ভোটার লিস্টের নম্বর রয়েছে আমাদের কাছে। ওদের কাছে চকোলেট মিলেছে, সেই চকোলেট পাকিস্তানে তৈরি”।