এনএসজি সূত্রে খবর, বিমানের লেজের ভিতরে যে জায়গায় ওই দেহটি আটকানো ছিল, সেটি খালি চোখেই দেখা এবং সেখানেই পৌঁছনোই কঠিন৷ ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৯৷ যাত্রী এবং বিমানকর্মীরা ছাড়াও নীচে থাকা বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলে থাকা সাধারণ মানুষ এবং চার জন এমবিবিএস পড়ুয়াও৷ কারণ স্থানীয় বি জে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপরে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত ওই বিমান৷
advertisement
বিমান দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশের দেহই শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই৷ মৃতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতেও অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে৷
ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা৷ তদন্ত করছে এনএসজি, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো৷
তবে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে আসলে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ ইতিমধ্যেই বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে৷ এ দিন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে৷ ব্ল্যাক বক্সের মধ্যেই থাকে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার৷ দুর্ঘটনার সময় বিমানের দুটি ইঞ্জিন কী অবস্থায় ছিল, বিমান কতটা উচ্চতায় উঠেছিল, আদৌ বিমানের উপরে দুই পাইলটের নিয়ন্ত্রণ ছিল কি না এবং পাইলটরা নিজেদের মধ্যে কী কথা বলেছিলেন, তাও জানতে পারবেন তদন্তকারীরা৷