সূত্রের খবর, হাওড়া, শিয়ালদহ এবং আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফ কর্মীরা বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে সমন্বিতভাবে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় হাওড়া ও ডানকুনি রেলওয়ে স্টেশনে দু’জন নাবালককে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ভুলবশত ১৩১৫২ ডাউন কলকাতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে কলকাতা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যায়। অন্য এক নাবালক পারিবারিক কলহের জেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানায়।
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ঘটনা! ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ৪ জীবন
মেসির ইভেন্টে বিশৃঙ্খলা হল কেন? শতদ্রু দত্তকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল নতুন তথ্য!
এছাড়াও বিভিন্ন স্টেশন এলাকা থেকে আরও দু’জন নাবালককে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া চার জন নাবালককেই নির্ধারিত নিয়ম মেনে পরবর্তী যত্ন, কাউন্সেলিং এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষের হাতে নিরাপদে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, “অপারেশন নানহে ফারিশতে” ভারতীয় রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর একটি বিশেষ অভিযান। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য রেল স্টেশন ও ট্রেনে বিপদে থাকা, হারিয়ে যাওয়া বা পরিত্যক্ত শিশুদের উদ্ধার করা এবং তাদের পাচার, শিশুশ্রম কিংবা অন্য কোনও শোষণের হাত থেকে রক্ষা করা। উদ্ধার হওয়া শিশুদের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি অথবা স্বীকৃত এনজিও-র মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
২০১৭ সাল থেকে চালু থাকা এই অভিযানে আরপিএফ-এর অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা, নিখোঁজ অথবা পাচারের শিকার শিশুদের চিহ্নিত করে নিরাপদে উদ্ধার করাই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। আরপিএফ প্রতি বছর এই অভিযানের মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুকে উদ্ধার করে পুনর্বাসনের পথে ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পূর্ব রেলের আরপিএফ জানিয়েছে, রেল চত্বর ও ট্রেনের মধ্যে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা শিশু কল্যাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ চালিয়ে যাবে।
