বালামউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি (Balamau passenger train) ২১ জানুয়ারি রাত ১ টায় শাহজাহানপুর রেল স্টেশনে পৌঁছেছিল এবং ইতিমধ্যেই ট্রেনটি নিজের সময় থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে চলছিল।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির বিশালাকার মূর্তি তৈরি করছেন কোন শিল্পী?
যে চালক বালামউ থেকে ট্রেনটি চালাচ্ছিলেন তাঁকে পরের দিন সকালে বালামউতে ফিরে যেতে হত। লোকো পাইলট গভীর রাতে আসার পর পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারেননি এবং শুক্রবার সকালে কিছুতেই ঘুম সম্পূর্ণ না করে ট্রেন চালিয়ে গন্তব্যে ফেরত যেতে তিনি নারাজ। ট্রেন চালক জানিয়েছিলেন, ঘুম শেষ হলে তবেই তিনি ট্রেনে উঠবেন।
advertisement
আরও পড়ুন- "সনিয়া রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে", কংগ্রেস-তৃণমূল জোট প্রত্যাশী নাফিসা আলি
শাহজাহানপুর স্টেশন থেকে ২১ জানুয়ারি সকাল ৭টায় এই ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল কিন্তু ট্রেন চালকের ঘুম সম্পূর্ণ না হওয়ায় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। ঘুমিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে ট্রেনটি চালাতে আসেন ওই লোকো পাইলট এবং ট্রেনটিকে রোজা জংশনে নিয়ে যান। সেখান থেকে অন্য আরেক চালক ট্রেনটিকে বালামউ নিয়ে রওনা দেন।
শাহজাহানপুরের স্টেশন মাস্টার জেপি সিংয়ের মতে, লোকো পাইলটরা এই ট্রেনটিকে বালামউ থেকে রোজা পর্যন্ত নিয়ে যান। রোজায় রাতে বিশ্রাম নিয়ে তারা সকালে ট্রেনটি চালান। এই লোকো পাইলট রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় সকালে ট্রেনে উঠতে অস্বীকার করেছিলেন। যদিও অল্পক্ষণের বিরতি নিয়েই ফের ট্রেন চালাতে শুরু করেন তিনি।
লোকো পাইলটদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ট্রেন চালানোর জন্য অসম্ভব মনোযোগ এবং সচেতনতার প্রয়োজন পড়ে। সম্প্রতি এ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার দোমোহানির কাছে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Bikaner-Guwahati Express) ট্রেনের ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪৫ জনেরও বেশি যাত্রী।