এটিইএস ইউনিটে ৪টি ক্যামেরা এবং ৪টি সেন্সর রয়েছে, যেগুলি রেলওয়ে ট্র্যাকের দু’ পাশে স্থাপন করা হয়। এই রেলওয়ে ট্র্যাকের মধ্য দিয়ে ট্রেন অতিক্রম করার সঙ্গে সমস্ত ক্যামেরা ও সেন্সর সক্রিয় হয়ে পড়ে এবং ট্রেনটির প্রত্যেকটি গতিবিধি নিরীক্ষণ করে। এভাবে ট্রেনের অ্যাক্সেল বক্স বিয়ারিঙের পাশাপাশি চাকার তাপমাত্রা সেন্সরের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়। এরপর, তাপমাত্রা নিজের সীমা অতিক্রম করলে সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেমের দ্বারা সতর্কবার্তা প্রেরণ হয়। যে কোনও ত্রুটি আগে থেকে চিহ্নিত করতে পারলে সময় অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির সুবিধা হয়, ফলে ট্রেনের সুরক্ষা উন্নত হয় এবং যে কোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
advertisement
এটিইএস ওয়াগনের কোচ নম্বরও চিহ্নিত করতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে ট্রেনের সময়সূচি ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কোচ নম্বর চিহ্নিতকরণ অ্যাক্সেল নম্বরের সাথে সিঙ্ক করা যেতে পারে, যার ফলে আরও বেশি বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। ট্রেনের দরজা বন্ধ রয়েছে, না খোলা রয়েছে অথবা সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটিইএস পরীক্ষা করতে পারে। রিয়াল-টাইম ভিত্তিক দরজার অবস্থা পরীক্ষা করে সিস্টেমটি সম্ভাব্য বিপদ ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে ট্রেন চালক ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের সতর্ক করে দিতে পারে, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে এবং পরিষেবার বাধা প্রতিরোধ করতে পারে।
আরও পড়ুন : ভাতের পাতে কয়েক টুকরো কাঁচকলা! ব্লাড প্রেশার সুগার কোলেস্টেরল বেবাক সাফ! সুস্থ হার্ট, মেদ গলে জল!
এটিইএস বর্তমানে পর্যবেক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে এবং এর কর্মপদ্ধতিতে ক্রমাগতভাবে আরও সংশোধন করা হবে।উচ্চ নির্ভরযোগ্যতা ও কম খরচের পাশাপাশি ট্রেন পরিচালনের ক্ষেত্রে সুরক্ষা উন্নত করতে এই রোলিং স্টক হেল্থ মনিটরটি লাভজনক হবে। একবার সম্পূর্ণভাবে কর্মক্ষম হয়ে উঠলে এই সিস্টেমটি ট্রেনের সম্ভাব্য বিপদ বহু পরিমাণে হ্রাস করবে।