এই কাজগুলির মধ্যে ট্র্যাক পরিকাঠামো এবং সিগনালিং ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের পাশাপাশি নুমলিগড় রিফাইনারি (এনআরএল) সাইডিঙের উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে এই সাইডিংটি পণ্যবাহী ট্রেনে পেট্রোলিয়াম অয়েল এবং লুব্রিকেন্টস (পিওএল) লোডিং পরিচালনের জন্য একটি আবশ্যকীয় প্রাইভেট পণ্য টার্মিনাল।এই অর্থবর্ষের আগস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত ১৫৮টি রেক লোডিং-এর মাধ্যমে রাঙাপানির এনআরএল সাইডিং উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জন্য আনুমানিক ৪৭.৪০ কোটি টাকা রাজস্ব উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭৬.৪১ শতাংশ (আনুমানিক) বৃদ্ধি।
advertisement
অতিরিক্তভাবে একই সময়ের মধ্যে টার্মিনালটিতে ০৫টি রেক আনলোড করা হয়েছে। এই সাইডিংটির কর্মক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে একটি অতিরিক্ত লোডিং লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং রিসেপশন ও পণ্যবাহী ট্রেনের ডিসপ্যাচ সহজ করতে লেআউট অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে পরিচালনামূলক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করার জন্য ইয়ার্ডটির সমস্ত ম্যানুয়াল শান্টিং লুপ্ত করে শান্ট সিগনালের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন : Friday, the 13 th! কেন ১৩ তারিখে শুক্রবার পড়লেই চরম অশুভ ও অপয়া? শুধুই কুসংস্কার? জানুন আসল কারণ
একইভাবে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে রাঙাপানি স্টেশন ইয়ার্ডে একাধিক উন্নয়ন বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন করে স্থাপিত ট্র্যাক-সহ ৫ ও ৬ নং. লাইনের সাথে চারটি নতুন পয়েন্টস চালু করার দ্বারা পয়েন্টস ও ক্রসিং ব্যবস্থার পরিবর্তন করা। এই বৃদ্ধির ফলে ৫, ৬, ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ নং. লাইন থেকে সিগনালের মাধ্যমে ট্রেনের প্রত্যক্ষ রিসেপশন ও ডিসপ্যাচের সুবিধা হবে, ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ও কর্মক্ষমতার উন্নতি হবে, রাঙাপাড়া ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ট্রেন ডিটেনশন হ্রাস পাবে এবং উভয় টার্মিনালে পণ্যবাহী ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।
শুধুমাত্র বিগত তিন মাসেই রাঙাপানি টার্মিনালটি ছয়টি রেক লোড করেছে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জন্য আনুমানিক ৩৮.২ লক্ষ টাকা রাজস্ব তৈরি করেছে। এছাড়াও, ট্রেন পরিচালনার উন্নতির জন্য রাঙাপানি স্টেশনে কম্পিউটার-বেসড ভিডিইউ (ভিজিউয়াল ডিসপ্লে ইউনিট) প্যানেলের সাথে একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ক্রমাগত উন্নয়নের জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা সুরক্ষার মান ও পরিচালনামূলক কর্মদক্ষতার ক্ষেত্রে উৎকৃষ্টতা নিশ্চিত করে এবং দেশ ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চল উভয়ের জন্য পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিষেবার সুবিধা প্রদান করে।