সম্প্রতি ফ্ল্যাটের বারান্দায় ফুলের বাগান করেছিলেন আদতে বেঙ্গালুরুর এক দম্পতি। অভিযোগ, সেখানে গাঁজা চাষও করতেন তাঁরা। ওই দম্পতিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরই গ্রেটার নয়ডার এই ঘটনা সামনে এল।
গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, এক গ্রাহককে গাঁজা বিক্রি করতে চলেছেন অভিযুক্ত। সেই মতো ফাঁদ পাতা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ক্রেতাকে দেওয়ার জন্য গাঁজার প্যাকেট হাতে ফ্ল্যাট থেকে বের হন রাহুল। তৎক্ষণাৎ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেটার নয়ডার ডিসিপি সাদ মিয়াঁ খান জানান, বেটা-২ এবং ইকোটেক-১ থানার পুলিশ এবং জেলার অ্যান্টি-নারকোটিক্স টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে রাহুলকে গ্রেফতার করেছে।
advertisement
এখানেই শেষ নয়। রাহুলকে গ্রেফতারের পর তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই পুলিশকর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ। পুলিশের ধারণা ছিল, ধৃত রাহুল অন্য কোথাও থেকে গাঁজা কিনে ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করেন। কিন্তু ফ্ল্যাটেই গাঁজা চাষের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহ সম্পূর্ণ সেটআপ দেখে অবাক হয়ে যায় অ্যান্টি-নারকোটিক্স টিম। ধৃতের ফ্ল্যাট থেকে ২.০৭০ কেজি গাঁজা এবং ১৬৩.৪ গ্রাম উচ্চমানের ‘ওজি’ (বিশেষ প্রজাতির গাঁজা) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, “দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই আমরা অবাক হয়ে যাই। ৮০টির মতো ছোট বড় গাঁজা গাছ রয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। সঙ্গে ওজি, বিভিন্ন রাসায়নিক এবং সার, চাষের জন্য ব্যবহৃত বীজও যন্ত্রপাতিও ছিল।”
আরও পড়ুন : তাঁর আমলেই নবরূপে আত্মপ্রকাশ সাবেক মেদিনীপুর শহরের, ২০০ বছর ধরে এখানে ঘুমিয়ে পিয়ার্স সাহেব
ইনস্পেক্টর অনুজ কুমার বলেন, “যেন হলিউডের সিনেমার কোনও দৃশ্য। স্পেকট্রাম আলো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মেশিন, কী নেই। বিভিন্ন প্রজাতির গাঁজা গাছ নম্বর অনুযায়ী সাজানো রয়েছে।” গ্রেটার নয়ডার ডিসিপি সাদ মিয়াঁ খান জানিয়েছেন, প্রায় মাস ছয়েক ধরে গাঁজা চাষ করছিলেন ধৃত রাহুল চৌধুরী। গাঁজা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্রাইম ড্রামা এবং ওয়েব সিরিজ দেখেই অনুপ্রাণিত হন তিনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রাহুল জানিয়েছেন, সিডসম্যান নামের একটি বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে গাঁজা গাছের বীজ কিনেছিলেন তিনি। পেমেন্ট করেছিলেন পেপ্যাল-এর মাধ্যমে।