পুদুচেরির থ্রোবাথিমাম মন্দিরের সামনেই রয়েছে 'জোথি বার'। যদিও দুইয়ের মধ্যে দূরত্ব ১১৪.৫ মিটার। নিয়ম অনুযায়ী, মন্দির সহ যে কোনও ধর্মস্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে পানশালা থাকা যায় না। এক্ষেত্রে অবশ্য সেই নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশাল আকার, বাড়ির মধ্যে ঘাপটি মেরে ছিল দুই বিপদ! হাড়হিম ঘটনা চন্দ্রকোণায়
এ বিষয়ে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাস হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট। মাদ্রাস হাইকোর্ট ওই পানশালা বন্ধের বা স্থানান্তরিত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপরই নন্দকুমার নামে এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিবি নাগরত্নার ডিভিশন বেঞ্চে জানান, মন্দির ও পানশালার মধ্যে কম দূরত্বের কারণে অনেকেই মদ্যপান করে মন্দিরে আসছেন, ঝামেলাও বাধাচ্ছেন। অনেকেই মন্দিরের কাজেও দখলদারি করছেন। ওই ব্যক্তির আবেদন ছিল, যদি ওই পানশালা বন্ধ না করা যায়, তাহলে মানুষের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে তা অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হোক।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বস্তির জায়গাতেই প্রকট অস্বস্তি, বড় ভাঙন BJP-তে! পুরভোটের আগেই TMC-র উচ্ছ্বাস
এই দাবির স্বপক্ষে ওই ব্যক্তি প্রমাণ দাখিল করলে বিচারপতি নাগরত্না বলেন, ''যদি পানশালা ৫০০ মিটার বা ১০ হাজার মিটার দূরেও থাকে, তাহলেও যারা মদ্যপান করে মন্দিরে গিয়ে সমস্যা করে, তারা তা করতে পারে।''
আরও পড়ুন: BJP-র 'পুরস্কারেও' অনড়, জল্পনা সত্যি করে আজই অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে রাজীব?
সুপ্রিম কোর্টের আগে মামলাটি উঠেছিল মাদ্রাস হাইকোর্টে। সে সময় প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে জয় হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই পানশালার লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এরপর মামলাটি যায় মাদ্রাস হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সৈথিলকুমার রামমূর্তির ডিভিশন বেঞ্চে। মন্দিরের প্রবেশ পথের সঙ্গে পানশালার দূরত্ব ১১৪.৫ মিটার, যা নিয়মের থেকেও বেশি। তাই পানশালার লাইসেন্স বন্ধের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।