মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি আদায় করতেই মূলত এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা৷ কারণ সংখ্যার নিরিখে মোদি সরকারকে অনাস্থা ভোটে বিপাকে ফেলা যে প্রায় অসম্ভব, তা বিরোধীরাও ভাল ভাবে জানে৷
আরও পড়ুন : চব্বিশ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, ‘১০ বছরের পুরনো…’, মুখ খুললেন নুসরত জাহান!
লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ যদিও ওই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা এই বৈঠক বয়কট করেন৷ তাঁদের দাবি ছিল, নতুন কোনও বিল পাস স্থগিত রেখে আগে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হবে সরকারকে৷ আবার সরকার পক্ষের পাল্টা দাবি, এমন কোনও নিয়ম বা পূর্ব নজির নেই যে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে অবিলম্বে তা নিেয় আলোচনা করতে হবে৷
advertisement
গত ২৬ জুলাই লোকসভায় এই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ৷ বিরোধী পক্ষের পঞ্চাশ জন সাংসদ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করায় বিলটি গ্রহণ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে পড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ ২০১৮ সালের ২০ জুলাইতেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়৷ যদিও শেষ পর্যন্ত বিপুল ব্যবধানে আস্থা ভোটে জয়ী হয় এনডিএ সরকার৷