সূত্রের খবর, হঠাৎ করে বিহারে তৈরি হওয়া মন্ত্রিসভা তৈরি হতে পারে আগের ফর্মুলাতেই। অর্থাৎ নীতীশের পূর্বতন জোটসঙ্গী বিজেপি যে মন্ত্রিসভার পদগুলি পেয়েছিল, সেগুলিই চলে যেতে চলেছে আরজেডি-র হাতে। আর জেডিইউ-এর যে পদগুলি ছিল, সেগুলি থাকছে নীতীশের দলের বিধায়কদের হাতেই।
আরও পড়ুন: আলিপুর জেলে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে! সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে তীব্র শোরগোল
advertisement
তবে আরজেডির সঙ্গে নীতীশের ফের এই মেলবন্ধন কিন্তু সহজ ছিল না। যখন কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে মহাজোট ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন নীতীশ কুমার তখন একটি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জোট ভাঙার পর নীতীশ বলেছিলেন, “আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল, আমার বিবেক আমায় নাড়া দিয়েছে... অন্য কোনও উপায় ছিল না।” যাদবদের ইঙ্গিত করে নীতীশ বলেছিলেন, “এই ধনের অবস্থান না নিলে আমি ভুল করব, আমি এই ধরনের রাজনীতি করি না।”
আরও পড়ুন: মল্লারপুরের দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর, দিলেন জনস্বার্থ মামলার হুমকি!
সেই নীতীশই গতকাল রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতীশ বলেন, 'মহাজোটের সব দল পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে৷' জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস সহ মহাজোটে মোট সাতটি দল রয়েছে৷ নীতীশকে স্বস্তি দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে জীতেন রাম মাঝির দল হাম৷ এ ছাড়াও একজন নির্দল প্রার্থীও নীতীশ-তেজস্বী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন৷ তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন নিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ফের মসনদে বসলেন নীতীশ৷
নীতীশ যখন ফের একবার পটনার মসনদে বসলেন, তখন বসে নেই বিজেপি-ও৷ আচমকা এই ধাক্কা সামাল দিতে দলের রণকৌশল ঠিক করতে আজই পটনায় দলের বিধায়ক, সাংসদ, বিধান পরিষদ সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে পটনায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি-র বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা৷