নেটওয়ার্ক ১৮-এর এডিটর ইন চিফ রাহুল জোশীকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রীর দাবি, 'আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর মাথায় এবারের বাজেটের প্রস্তুতির সময় নির্দিষ্ট কোনও পলিসি নিয়ে দ্বিধা ছিল। করোনার অতিমারি কাটিয়ে ওঠা একটি অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখন সেটিকে নির্দ্বিধায় আরও সহযোগিতা' করাই আমাদের লক্ষ্য'। ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হওয়া ২০২২-২৩ সালের বাজেটে আসন্ন ৫ রাজ্যের ভোট নিয়ে কোনও আলাদা স্কিম বা ঘোষণা করা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২২-এর বাজেট রক্ষণশীল নয়, বরং অনেক বেশি দায়িত্বশীল: নির্মলা সীতারমন
এটি গত বছরের বাজেটের একেবারে বিপরীত যেখানে, অর্থমন্ত্রী সংসদে বাজেট পেশ করার পরেই চারটি রাজ্যের নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ করেছিলেন। সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'এই বাজেট নিয়ে কাজ করার প্রাথমিক পর্যায় থেকেই আমাদের মনে কোনও সন্দেহ ছিল না যে পরিকাঠামোতে সরকারি বিনিয়োগ, অর্থাৎ সরকারের মূলধন ব্যয় ধরে রাখতে হবে। এমনকী গত বছরও আমরা ২০২১ থেকে ২০২১-২২ সালের মধ্যে সরকারের মূলধন ব্যয়ে একটি ভালো দৃঢ় বৃদ্ধি করেছিলাম।'
আরও পড়ুন: 'বাজেটে হিরের দাম কমেছে, ডাল-ভাতের কথা ভাবেনি বিজেপি', তোপ তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতার
এবারের বাজেট প্রস্তুতির সময় কি পাঁচ রাজ্যের ভোটের কথা অর্থমন্ত্রীর মাথায় ছিল? নেটওয়ার্ক ১৮-এর এডিটর ইন চিফ রাহুল জোশীর করা এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'না। আসলে আমরা ভেবেছিলাম অর্থনীতি ভালো করে এবং যদি বৃদ্ধি সেই ধরনের গতি অর্জন করে, গুণক প্রভাবিত হবে।' তিনি ব্যাখ্যা করে জানান, 'আপনি যখন পরিকাঠামোতে ব্যয় করেন এবং যখন আপনি মূলধন ব্যয় করেন, আপনার ব্যয় করা প্রতি টাকার জন্য আপনি আনুমানিক ২.৯৫ টাকা পাবেন একটি গুণক প্রভাব হিসাবে, যার বিপরীতে আপনি রাজস্ব ব্যয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করার সময় ব্যয় করা প্রতি টাকার জন্য এক টাকার কম পাবেন।' তাঁর কথায়, 'অতএব, আমরা ভেবেছিলাম সর্বাধিক গুণক প্রভাব থাকা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি অর্থনীতিতে যথেষ্ট ঢেউ তুলবে, এর ফলে নাগরিকদের মঙ্গলও হবে। সুতরাং, যদি তা ঘটতে থাকে, তাহলে কেন অন্য কোনও বিবেচনা আসবে, এমনকী নির্বাচনের সময়ও'।