রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় সরকারই এটা করে দেয়। ফলে তাদের জন্যই অডিট রিপোর্ট দিতে পারেনি রাজ্য। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ২০৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের অডিট রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ দিনের বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ট্রাইব্যুনাল গঠন।
আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজের খরচ বহন করা উচিত রাজ্যগুলির, মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের
advertisement
পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের তরফে পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানায়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ট্রাইব্যুনাল চায় না। রাজ্যে পৃথক বেঞ্চ গঠনের পক্ষে সরকার। বিভিন্ন রাজ্যের তরফে আগেও অনেকবার ৫ বছরের পরেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আজকের বৈঠকেও কেরল, পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্য ৫ বছরের পরেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানায়। চন্দ্রিমা বলেন, "জানি ওরা শুনবে না। ওদের বলে কোনও লাভ নেই।"
আরও পড়ুন: সই, নথি জাল করে শিশির অধিকারীর নামেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট! নির্মলাকে অভিযোগ জানালেন কাঁথির সাংসদ
তরল গুড়ের ক্ষেত্রে জিএসটির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। তবে প্যাকেটজাত এবং লেবেল করা গুড়ের ক্ষেত্রে জিএসটির হার ৫ শতাংশ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সহ গুড় উৎপাদক রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই পণ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেনসিল পরিষ্কারের যন্ত্রের ওপর জিএসটির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।
নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ডেটা লগার বা ট্র্যাকিং ডিভাইসের উপর জিএসটির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি শর্তের উপরে। বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হলে তার জরিমানার অঙ্ক কমানোরও সুপারিশ করেছে জিএসটি কাউন্সিল।
এ দিনের বৈঠকে সিমেন্টের উপর জিএসটি কমানো নিয়ে আলোচনা হবে বলে জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জ্বালানির দাম জিএসটি-র আওতাভুক্ত করা নিয়ে আলোচনার কথা শোনা গেলেও এ দিনের বৈঠকের তালিকায় সেটি ছিল না।