প্রায় ১৭৫ বছর আগে গৌরসুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরী-এই দুই ভাইয়ের হাতে তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সুতীর নিমতিতা রাজবাড়ি। জলসাঘরের বাতিতে এক সময় ঝলমল করে ওঠা রাজবাড়ির আজ বিবর্ণ দেওয়াল ও ইটগুলোই সার। কিন্তু বর্তমানে জরাজীর্ণ নিমতিতা রাজবাড়ি কোনওক্রমে দাঁড়িয়ে রয়েছে জানা অজানা ইতিহাসের নানা সাক্ষী নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন : দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা! অন্ধকারে বিপর্যস্ত সিউড়ির ৬ পরিবার
এই জমিদার বাড়িতেই ‘জলসাঘর’, ‘তিনকন্যা’, ‘দেবীর’ মতো একাধিক বাংলা ছবির শুটিং হয়। বর্তমানে গঙ্গা ভাঙনে ধ্বংসের প্রহর গুনছে জরাজীর্ণ নিমতিতা রাজবাড়ি। তার এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সরকারিভাবে ঐতিহ্যবাহী নিমতিতা রাজবাড়ি সংরক্ষণ করা হোক। সেইমতো গত ১ জুন এই নিমতিতা রাজবাড়ি হেরিটেজ তকমা লাভ করে।
তবে এখনও সংরক্ষণের কোনও কাজ শুরু হয়নি এই রাজবাড়িতে। এ বার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি বোর্ড লাগানো হল নিমতিতা রাজবাড়ির সামনে। বুধবার জেলা পর্যটন বিভাগের আধিকারিক জয়ন্ত মন্ডল, সুতি ২নং ব্লকের বিডিও সমিরণকৃষ্ণ মণ্ডল-সহ অন্যান্য আধিকারিক, জেলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই নিমতিতা রাজবাড়ির সামনে এই হেরিটেজ বিজ্ঞপ্তির বোর্ড লাগানো হয়। আগামীদিনে সমস্ত নির্দেশ মেনে এই রাজবাড়ি সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান পর্যটন বিভাগের আধিকারিক জয়ন্ত মণ্ডল।
হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি বোর্ড লাগানো হল নিমতিতা রাজবাড়ির সামনে। বুধবার জেলা পর্যটন বিভাগের বিভিন্ন আধিকারিক, বিডিও-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই নিমতিতা রাজবাড়ির সামনে এই হেরিটেজ বিজ্ঞপ্তির বোর্ড লাগানো হয়।