অন্তত তেমনই দাবি করা হয়েছে ভারতের সব থেকে বড় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সমীক্ষায়। নিউজ ১৮-এর তরফে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ভারতের ২৫টি রাজ্যে, ৮০৩৫ জন মহিলার সঙ্গে কথা বলে। এঁদের সকলের বয়স ১৮-৬৫ বা তার বেশি। সেক্ষেত্রে কোথাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-র উল্লেখ না করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে যে সমস্ত নিয়ম বলবৎ হবে তার কথা বলা হয়েছিল। সার্বিক ভাবে বিধির পক্ষে মত পোষণ করেছেন অধিকাংশ মহিলা। স্নাতক বা ততোধিক ডিগ্রিধারী মহিলারা অনেক বেশি এর পক্ষে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ছেলেদের মতোই মেয়েদের বিয়ের বয়সও ২১ করা হোক; চাইছেন ৭৮.৭% মুসলিম মহিলা
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক-সহ একাধিক বিষয়ে সারা দেশে এক নীতি প্রযুক্ত হবে। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আইন পরিষদ এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে। তারপরই মুসলিম সংগঠন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড দাবি করেছে, এভাবে আইনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠের নীতিবোধ ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করতে পারে না। তারপরই নিউজ ১৮ সিদ্ধান্ত নেয় খতিয়ে দেখার, এই সিদ্ধান্ত সব থেকে বেশি কেমন প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বিবাহবিচ্ছেদে বিধিনিষেধ ছাড়াই পুনর্বিবাহের অধিকার চান ৭৪ শতাংশ মুসলিম মহিলা
সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে তা অনেকটা এরকম—
১. বিবাহ, বিচ্ছেদ, দত্তক, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সারা দেশের নাগরিকের জন্য একই রকম আইন হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন ৬৭.২ শতাংশ মুসলিম মহিলা। স্নাতকদের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৬৮.৪।
২. বহু বিবাহ বন্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন ৭৬.৫ শতাংশ মহিলা (৭৮.৬ শতাংশ স্নাতক)।
৩. সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে সব থেকে বেশি সংখ্যক মহিলা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে, প্রায় ৮২.৩ শতাংশ (স্নাতক ৮৫.৭শতাংশ)।
৪. বিবাহ বিচ্ছিন্নদের কোনও শর্ত ছাড়াই পুনর্বিবাহের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ৭৩.৭ শতাংশ মহিলা।
৫. সন্তান দত্তক প্রসঙ্গে মত দিয়েছেন ৬৪.৯ শতাংশ মহিলা (স্নাতকদের মধ্যে ৬৯.৫ শতাংশ)।
৬. নিজের ইচ্ছে মতো সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নির্বাচনের অধিকার পাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ৬৯.৩ শতাংশ মহিলা (স্নাতক ৭৩.১ শতাংশ)।
৭. মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের বিয়ের বয়স ২১ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন ৭৮.৭ শতাংশ মহিলা (স্নাতক ৮২.৪ শতাংশ)।