ভারতের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি কানাডায় ভারত বিদ্বেষী অপরাধ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট কার্যকলাপ বাড়ছে, সেই কারণে সেখানে থাকা অথবা বেড়াতে যাওয়া ভারতীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে৷ সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক ও যে সমস্ত ভারতীয় এই ভারত-বিরোধিতার প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে৷ কানাডার যে সমস্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, ভারতীয়দের সেই সমস্ত এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷’
advertisement
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে কোনও সমস্যায় পড়লে প্রবাসী ভারতীয়েরা যেন কানাডায় থাকা হাই কমিশন বা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে কানাডায় থাকা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের৷ তাঁদের আশপাশের সমস্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, চরম সতর্কতা অবলম্বন করারও বার্তা দেওয়া হয়েছে৷
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর গত মঙ্গলবারের বয়ান নিয়ে ইতিমধ্যেই দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড়সড় আঘাত লেগেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা৷ গত তিন-চারমাস ধরেই কানাডায় থাকা খালিস্তানপন্থীরা দাবি করে আসছিলেন৷ গত মঙ্গলবার কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ এনেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো৷ তিনি জানিয়েছেন, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার ‘প্রমাণ’ কানাডা সরকারের হাতে রয়েছে৷
ট্রুডোর এই কথা বলার পরেই বহিষ্কার করা হয়েছে কানাডায় থাকা এক কূটনীতিককে৷ ট্রুডো সরকারের দাবি, ওই ব্যক্তি, কানাডায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রধান ছিলেন৷ যদিও নিজ্জর খুন নিয়ে কানাডার তোলা অভিযোগ ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’বলে দাবি করেছে ভারত৷